লিটন সরকার,রৌমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:
বীরমুক্তিযোদ্ধাকে অবমূল্যায়ন করায় উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন জেলা প্রশাসক বরাবর। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার সি জি জামান সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট মাঠে। এ ঘটনায় মঙ্গলরাব বীরমুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।অভিযোগ সুত্রে জানাযায় চলতি বছরে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী রৌমারী উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ৩ দিন ব্যাপি জাতীয় বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত খেলায় ৩দিনেই বীরমুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। অথচ উপজেলা প্রশাসন তাকে মূল্যায়ন না করে উদ্বোধন, সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছেন। কিন্তু তার নাম একবারের জন্য ঘোষনা না করায় এবং অবমূল্যায়ন করায় মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।এসময় সমাপনী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবিএম সারোয়ার রাব্বি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আইবুল ইসলাম, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল করিম, চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একেএইচএম সাইদুর রহমান দুলাল, শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইমলাম, একাডেমিক সুপার ভাইজার মোক্তার হোসেন, উপজেলা ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোয়াক্ষের আলম সোনা, উপস্থাপক মোজাম্মেল হক সরকার প্রমূখ। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতা আইবুল ইসলাম বলেন, আমি নানা কাজে ব্যস্ত থাকায় মুক্তিযোদ্ধার বিষয়টি খেয়াল রাখতে পারিনি। এরকম হয়ে থাকলে ঘটনাটি দু:খজনক। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডিপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহার আলী বলেন, বীরমুত্তিযোদ্ধা জিজুর রহমানকে অবমূল্যায়ন করা উপজেলা প্রশাসন মোটেও ঠিক করেনি।উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। এ মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা ছিল এমন বিষয় আমাকে কেউ অবগত করেননি। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি আসলে দুঃখজনক। এরকম ঘটনা কেন তারা করে তা আমি বুঝি না। একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত থাকলে আমি তো চেয়ার ছেড়ে দেই।