বর্ণিল আয়োজনে কবি ও অভিনেতা সোহেল রশিদের জন্মদিন উদযাপন

লেখক:
প্রকাশ: 6 hours ago

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: লেখকের দৃষ্টির সীমানায় সময় ও নদীর স্রোতে বিরহ রঙ বদলেছে বারবার। দুঃখমেঘে জমানো খুনশুটি ও কষ্ট সমুদ্রের নানান অনুষঙ্গ, দেশপ্রেম, কাব্যরসের বিচ্ছুরণে শৈল্পিক উচ্চারণের সাহস দেখিয়েছেন কবি ও বিশিষ্ট অভিনেতা এবিএম সোহেল রশিদ। মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের বেদিমূলে আত্মোৎসর্গকৃত সূর্যসন্তান এবিএম আব্দুর রহিম-এর সন্তান। সোহেল রশিদ শিল্প-সংস্কৃতির প্রায় সবকটি পথেই স্বাচ্ছন্দ্যে পদচারণা করছেন।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর-২০২৪) বন্ধুপ্রতিম সাহিত্য সংগঠনের ব্যানারে কবি, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা এই গুণি লেখককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে কবিতা আবৃত্তি ও আলোচনার মধ্য দিয়ে জন্মোৎসব পালন করেছেন। ঢাকার জাতীয় প্রেসiক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এই উৎসব উদযাপন করা হয়। এতে কবি ও সম্পাদক শাহীন রেজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনপ্রিয় নায়ক ও পরিচালক-প্রযোজক আশরাফ উদ্দিন আহমদ উজ্জ্বল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবিতা পরিষদের আহ্বায়ক, কবি মোহন রায়, সব্যসাচী লেখক মাজহারুল পারভেজ, আসাদুল করিম, সাংস্কৃতিক সংগঠক জাকির হোসেন রোকন, রফিকুল ইসলাম, কবি ও সাংবাদিক শাহীন চৌধুরী, চলচ্চিত্র পরিচালক বদিউল আলম খোকন, চিত্রনায়ক মেহেদী হাসান, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক শাওন আশরাফ, কবি ও ছড়াকার আতিক হেলাল, কবি, সংগঠক ও আবৃত্তিশিল্পী জহিরুল হক বিদ্যুৎ, কবি ও সংগঠক মো. বেল্লাল হাওলাদার কবি ও প্রাবন্ধিক ফারুক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরসহ আরো অনেকে।

প্রধান অতিথি চিত্রনায়ক উজ্জ্বল শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘সোহেল রশিদ আমাদের ফিল্মের মানুষ হয়েও যেভাবে কবিতার জগতে নিজেকে মেলে ধরেছেন তাতে আমাকে বেশ আলোড়িত করেছে।’ সমাজের অনিয়ম, অন্যায়, নির্যাতনের প্রতিবাদ করেছেন বর্ণের মাধ্যমে। কথা বলেন মা মাটি মানুষের।’ এছাড়াও অন্যান্য বক্তরা বলেন, সোহেল রশিদ কবি হিসেবে শুধু নয়, রাজনীতিবিদ হিসেবেও একজন সফল মানুষ। ব্যক্তি জীবনে তিনি একেবারেই সাদামাটা জীবনযাপন করেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, লেখেন মানুষের কল্যাণে। অনুষ্ঠানে বন্ধু, সুহৃদ, ভক্তদের উপহার ও শুভেচ্ছায় সিক্ত হন কবি ও অভিনেতা এবিএম সোহেল রশিদ।

সোহেল রশিদ ১৯৬৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর( এসএসসি সার্টিফিকেট অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি ১৯৬৮) রাজধানী ঢাকায় আজিমপুর মেটারনিটি হাসপাতালে ভূমিষ্ঠ হলেও পৈত্রিক নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসুদেব ইউনিয়নের তিতাস নদীর পাড়ে ঘাটিয়ারা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মোল্লাবাড়ি। তাঁর মাতা কারুশিল্পী মিসেস ঝরনা রহীম। পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনিই বড়। অভিনয় তাঁর পেশা। সব মাধ্যমেই অভিনয় করেন। এ পর্যন্ত চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। বিটিভিতে চলচ্চিত্র বিষয়ক পাক্ষিক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ঝিলমিল’ গ্রন্থনা ও সঞ্চালনা করেছেন তিনি। এ পর্যন্ত কবির ১৬ টি কবিতার বই প্রকাশ হয়েছে। উপন্যাস ৪ টি। শিশুতোষ ১টি। তাঁর প্রতিটি বই পাঠক সমাজে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

error: Content is protected !!