সিলেট বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান:
সুনামগঞ্জ দোয়ারা বাজার উপজেলার বাংলা বাজার ইউনিয়নের বড়খাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল নজির আহমদের রহস্যময় পদত্যাগ এর কারণ জানতে চায় অভিভাবক,এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। স্কুল স্থাপিত ১৯৭৬০সালে কলেজ স্থাপিত ১৯৯৫ ইং প্রতিষ্ঠাতা ও দাতা মরহুম হাজী মফিজ আলী'র দানকৃত প্রায় আট একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত হয়েছিল এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠানি এমপিভূক্ত হয়। বর্তমানে প্রায় ১২ শত শিক্ষার্থী রয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২১ জন শিক্ষক রয়েছেন।
২০১৩ সালে প্রিন্সিপালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলে ১২ জন আবেদন করেন।১২ জনের মধ্যে একজন ও প্রতিষ্ঠানে আসার সুযোগ দেয়নি এই নজির আহমেদ। তখন থেকে শুরু হয় পক্ষে বিপক্ষে নানা গুনজন। এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৩ বছর প্রিন্সিপালের দায়িত্বে ছিলেন নজির আহমদ। তিনি তার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তিনি নিজের ইচ্ছেমত অভিভাবক ও নির্বাচিত গভর্নিংভর্নিং কমিটির সাথে কোন রকম মিটিং বা পরামর্শ ছাড়াই সকল সিদ্ধান্ত নিতেন। এবং উগ্র মেজাজে চলাফেরা ছিল তার একটি সভাব এমনটি জানান এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য শিক্ষক বৃন্দ। জানা যায় গত দেড় বছর পূর্বে স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি নির্বাচিত হন জামাল উদ্দিন। তিনি সভাপতি হওয়ার পর এখন পর্যন্ত কোন সদস্যদের নিয়ে মিটিং বা পরামর্শ করেননি। পাশাপাশি বছরে একবারও প্রতিষ্ঠানে আসেন না এমনটির অভিযোগ জানান এলাকাবাসীসহ শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
গত ৪ অক্টোবর ২০২৩ইং তারিখে প্রিন্সিপাল নজির আহমদের ফেইসবুক স্ট্যাটাসে মাধ্যমে জানান দেন তিনি নতুন কর্মস্থল সিলেটে একটি প্রতিষ্ঠানে তিনি যোগদান করেন। এমন ট্যাটার্স এর মাধ্যমে জানারপর শুরু হয় এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে নানা গুঞ্জন ও আলোচনা। সবাই জানতে চায় তার পদত্যাগ করার কারন কি? কেন হঠাৎ করে প্রিন্সিপাল পদত্যাগ করলেন যা শুধু স্কুলের সভাপতি জামাল উদ্দিন ছাড়া কেউ জানেনা? বিষয়টি সকলের মনে একটি রহস্যের কারন হয়ে দাড়িয়েছে। যার কারন জানা দরকার বলে মনে করেন সবাই। এছাড়াও প্রিন্সিপাল পদত্যাগ করার পর ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মো:আইয়ূব খান কোন মিটিং বা লিখিত কাগজ ছাড়াই অদৃশ্য ক্ষমতাবলে নিজেই দখল করে নেন প্রিন্সিপালের চেয়ার। এমনটি অভিযোগ জানান অন্যান্য শিক্ষক বৃন্দরা। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় এসব তথ্য। এব্যাপারে জানতে চাইলে স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি জামাল উদ্দিন বলেন প্রিন্সিপাল যাওয়ার সময় আমার কাছে একটি পদত্যাগপত্র দিয়ে যান কি কারনে পদত্যাগ করেছেন সেটি আমার জানানেই এ বিষয়ে আমি এখনো কার সঙ্গে পরামর্শ করার সময় পাইনি বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে প্রিন্সিপাল নজির আহমদের মুটোফোনে একাধীকবার কল দিলে ফোনটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া হয়নি।এব্যাপারে শিক্ষক আইয়ূব খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন পদত্যাগকৃত প্রিন্সিপাল নজির আহমদ আমাকে প্রিন্সিপালের দায়িত্বে থাকতে বলেছেন তাই আমি এখন নতুন প্রিন্সিপাল।এব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার মো: জাহাঙ্গীর আলম'র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই স্কুলের মধ্যে জামেলা আছে। তিনি প্রতিবেদককে সিলেট বিভাগীয় শিক্ষা অফিসার আব্দুল মান্নানের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। এ ব্যাপারে সিলেট বিভাগীয় শিক্ষা অফিসার আব্দুল মান্নানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা যায়নি।