তহিদুল ইসলাম,মনিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ
যশোর মণিরামপুর উপজেলার হেলাঞ্চি আশ্রয় প্রকল্প,(০২) এর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার একটি ঘরে বসবাস করেন মৃত মহানন্দ বারিক মন্ডলের স্ত্রী কোকিলা বারিক।কোকিলা বারিকের মেয়ে প্রিয়া বারিক আজ পৃথিবীতে নেই, কিন্তু তার মায়ের কাছে রেখে গেছেন সৃতি। বই মেলা থেকে ২০ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। সেই ছবিটি প্রিয়ার ছবির পাসে রেখেছেন প্রিয়ার মা ককিলা বারিক। প্রিয়ার মৃত্যু মাত্র ২ মাসের ব্যাবধানে মারা যায় তার পিতা মহানন্দ বারিক মন্ডল। শাশুড়ী ও এক মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে প্রিয়ার পরিবারের। ঠাকুর মার ভিক্ষার চাউলে চলে কোনো রকম চলে সংসার। ভিন্ন গ্রাম থেকে আসার কারনে ইউপি সদস্য, ও চেয়ারম্যানরা দেন না সরকারি কোনো অনুদান। অনুদান চাইলে ঘর থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন ইউপি সদস্য, ও চেয়ারম্যানরা।
অভিযোগঃ
এছাড়াও একাধিক অভিযোগ রয়েছে নারী ইউপি সদস্য সকিনা বেগমের উপর।ভোটার পাল্টে ইউনিয়নে না আনা পর্যন্ত কোনো সরকারি সুবিধা পাবে না কেও। এর আগে কেও কোনো কিছু চাইলে তাদের কে প্রকল্পের ঘর থেকে নামিয়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করে স্হানীয় নারী ইউপি সদস্য সকিনা বেগম। এমন ভাবে অবহেলা প্রায় জায়গায় আশ্রয় প্রকল্পের বাসিন্দারা। ঘর পেয়ে কেও কেও মা বলে আখ্যায়িত করলেও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের অবহেলা, অপমান সহ্য করতে না পেরে ঘর ছেড়ে দিয়েছে অনেকেও। কাশিপুর গ্রামের মালেক নামে এক বেক্তি কে ঘর থেকে প্লান করে নামিয়ে দিয়ে, একই ঘরে তালা ভেঙ্গে ঘরে উঠিয়ে দেন বিধবা নারী হাজেরা বেগম কে।গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে খারাপ আচার-আচরণ করেন সকিনা বেগম। সাংবাদিকদের কাজে বার বার বাঁধা প্রদান করেন সকিনা বেগম। এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কে ফোন দেন নারী ইউপি সদস্য সকিনা বেগম। ফোন কেটে দেওয়ার পূর্বে হাজারা বেগম কে ঘর থেকে চলে যেতে বলে।
পরবর্তীতে এটিএনও কে বুঝিয়ে ঘরে উঠিয়ে দেবেন বলে জানায়। এক পর্যায়ে হাজেরা বেগম কে বুঝিয়ে পড়িয়ে টিএনও কে কি কি বলতে হবে শতশত মানুষের সামনে বলেছেন।এবং সকল তথ্য মেবাইল ফোনে ভিডিও সংরক্ষণ। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কথা বলতে বুঝিয়ে দেন নারী ইউপি সদস্য সকিনা বেগম। এছাড়াও প্রতিনিয়ত এখানে বসবাস কারী গরীব অসহায় মানুষ কে হুমকি প্রদান করেন। যদি কেও মুখ খোলে, তার ঘর থেকে নামিয়ে দেওয়া হবে।কোনো এম পি মন্ত্রী, এমন কি শেখ হাসিনাও এসে ঘর ঠেকাতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ইউপি সদস্য সকিনা বেগম।
আশ্রয় প্রকল্পের বসবাস কারী সকল পরিবারে দাবী উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকির হোসেন কে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বিস্তারিত জানালে তিনি বলেন।সরকারি ঘর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপহার অসহায় গরীব মানুষের জন্য এই ঘর।এই ঘর যাহারা পেয়েছেন তাদের নামে ঘর ও জমির দলিল হয়ে যায়। এখান থেকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বা মেম্বার চাইলেই যাকে তাকে নামিয়ে দিতে পারেন না,বা ঘরেও কাওকে উঠিয়ে দিতে পারেন না। এবিষয়ে মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম বলেন সরকারি ঘর গরীবের জন্য উপহার দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।বরাদ্দ কৃত ঘর থেকে চাইলেই কাওকে যোর পূর্বক নামিয়ে দিতে পারেন না কোনো জনপ্রতিনিধি। আমি এমন অভিযোগ আগেও পেয়েছি,ওই আশ্রয় প্রকল্প থেকে। আমি সরাসরি ঘটনা স্থান পরিদর্শন করবো।