সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার ধুনচি গ্রামের ময়না খাতুন পুলিশের একটি চাকরির স্বপ্ন দেখেছিলেন। ২০২৪ সালের শুরুতে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনে আবেদন করেন এবং প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কিছু অসাধু ব্যক্তির দাবি অনুযায়ী, চাকরি নিশ্চিত করতে তাকে তিন লাখ টাকা ঘুষ দিতে হবে। ঘুষের এই দাবি শুনে হতাশায় ভেঙে পড়েন ময়না। চাকরি পাওয়ার আশায় তিন দিন ধরে প্রভাবশালীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো সমাধান পাননি।
চতুর্থ দিনে আবারও পুলিশ লাইনে গেলে শারীরিক দুর্বলতা এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, তিনি স্ট্রোক করেছেন এবং তার শরীর প্যারালাইজড হয়ে গেছে।
ঘটনার কথা শুনে ২০২৫ সালের ১০ জানুয়ারি সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান ময়নাকে দেখতে তার বাড়িতে যান। তিনি ময়নার জন্য একটি হুইলচেয়ার উপহার নিয়ে যান।
ডিআইজি খান সাঈদ হাসানকে দেখে ময়না এবং তার পরিবার আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে। সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তার মানবিক উদ্যোগে ময়নার মুখে হাসি ফোটে। তার সেই হাসি দেখে ডিআইজি নিজেও আবেগ ধরে রাখতে পারেননি।
ডিআইজি খান সাঈদ হাসান বলেন, “কিছু অসাধু ব্যক্তি পুলিশের সুনাম নষ্ট করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধে আমরা কাজ করছি।” তিনি ময়নার পরিবারকে আশ্বাস দেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেই সঙ্গে তিনি সমাজের বিত্তবানদের প্রতি ময়নাকে সহায়তা করার আহ্বান জানান এবং নিজেও সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।