স্টাফ রিপোর্টার, রংপুরঃ
রংপুর সদর উপজেলার চন্দনপাট ইউনিয়ন পরিষদ বৈকন্ঠপুর গ্রামের আমছার আলীর পুত্র মোঃ ফরিদুল মিয়া তার প্রতিবেশী দেলোয়ার হোসেন, রুবেল মিয়া,রফিক, মোসাদ্দেক ও জাহাঙ্গীর আলমের সহিত দীর্ঘদিন ধরে বসত ভিটা নিয়ে দ্বন্ধ চালিয়ে আসছিল। ঘটনার সূত্রপাত এখান থেকেই। ইতিপূর্বেই ফরিদুল মিয়া তার বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ মারপিট গুরুতর জখম দেখাইয়া দেলোয়ার,রুবেল,মোছাদ্দেক রফিক ও জাহাংগীর আলমকে আসামি করে ১৪ সেপ্টেম্বর/২৩ ইং রংপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রংপুর সদর কোতোয়ালি আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। যার নম্বর সিআর-১৭১/২৩। মামলাটি চলমান এবং মামলা পিবিআই তদন্তাধীন। উদ্দেশ্য ছিল প্রতিপক্ষকে জব্দ করা। এখানেই শেষ নয়, গত ২৬ অক্টোবর /২৩ইং ফরিদুল মিয়া, নিজ বসত বাড়ির সামনে টিনের চালায় আগুন লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভস্মীভূত দেখিয়ে রংপুর সদর কোতোয়ালি থানায় আবারও একটি এজাহার দায়ের করে। এই এজাহারে উল্লেখিত আসামিগণ পুর্বে বর্নিত মামলার আসামি বটে। এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, ফরিদুলের চালায় আগুন লেগেছিল সত্যি তবে,চালা ঘরে নেহাত খড়কুটো ছাড়া কোন মালামাল ছিলনা। একটি বিষয় লক্ষনীয়, ফরিদুল আগুন লাগার ঘটনা টের পেল কিন্তু দমকল বাহিনী কিংবা ত্রিপোল নাইন কোথাও জানায়নি। এমনকি প্রতিবেশী যারা আগুন নেভাতে এসেছিল তারাও না। ভিডিও ধারন করে ছিল শুধুমাত্র ফরিদুলের মেয়ে। ফরিদুলের এমন নাটকীয়তায় শুধু প্রতিবেশি নয় স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধীরাও হয়রানির শিকার হয়েছে। আলোচিত এই ঘটনায় এলাকার সুধী সমাজ বলাবলি করছে ফরিদুল মিয়ার এমন নাটকীয় ঘটনা সত্যি বড়ই ন্যাক্কার জনক ঘটনাটি সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।