পূবাইলের হারবাইদ স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আবু নাঈমের অনিয়মের তদন্ত

লেখক: mosharraf hossain
প্রকাশ: 7 months ago

আলিফ আরিফা গাজীপুর প্রতিনিধি :

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পূবাইলস্থ হারবাইদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষ আবু নাঈমের বিরুদ্ধে এসএসসি পরীক্ষার খাতা তারই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৯ম শ্রেণির ছাত্রীদের দিয়ে নাম্বারিং করানোর অভিযোগের ভিত্তিতে দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলা প্রশাসক জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহকারি প্রোগ্রাম অফিসার কবীর শাহাদৎ কে আহবায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিলেও এখনো তদন্তের কার্যক্রম শুরু করেনি তারা। ফলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষ আবু নাঈম রিপন কোন কিছুকে তোয়াক্কা না করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন দাপটের সাথে।

এ প্রতিবেদক এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোঃ শফিকুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান- ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তকাজ চলমান। অপরদিকে তদন্ত কমিটির আহবায়ক জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহকারি প্রোগ্রামার কবীর শাহাদৎ এর সাথে সরাসরি সাক্ষাতে কথা বললে তিনি জানান- রমজান, ঈদ ও গরমের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকায় এবং আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বদলি হওয়ায় আমরা তদন্ত কাজে এগুতে পারিনি। তবে তদন্ত কমিটি রোববার/সোমবার সরেজমিনে বিদ্যালয়ে যাবেন। তাকে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছে।

হারবাইদ স্কুল এন্ড কলেজের সাথে সম্পৃক্ত অনেকেই অভিযোগ করেন- প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষ নাঈম মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ঐহিয্যপূর্ণ অনুষ্ঠান ১৬ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা দিবসসহ জাতীয় দিবসগুলো তিনি বিদ্যালয়ে পালন করেননা। এমনকি ওই দিনগুলোতে তিনি জাতীয় পতাকা পর্যন্ত উত্তোলন করেননি। একটি সূত্র জানায়- আবু নাঈম যোগদানের পূর্বে বিদ্যালটির হিসাবে প্রায় ২৬ লাখ টাকা জমা ছিলো। তিনি যোগদান করে নানা রকম ভাওচার প্রদানের মাধ্যমে ওই টাকাগুলো নয়-ছয় করে খরচ করেছেন। এখন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের বেতনের টাকা না দিলে শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন পর্যন্ত যথা সময়ে পায়না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে বলেন- প্রধান শিক্ষক/অধ্যক্ষ আবু নাঈম বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন গাজীপুর শহরের সাহা পাড়ায়। সে সাহাপাড়া থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ সেরে গেলেও ওই কাজের জন্য বড় রকমের যাতায়াত ভাউচার দাখিল করে টিএ-ডিএ গ্রহণ করেন। তার নিয়োগ ফাইলটি পর্যন্ত বিদ্যালয়ে সংরক্ষিত নেই বলে কমিটির অনেক সদস্য জানান। বিদ্যালয়ের শিক্ষক/অভিভাবক ও সচেতন মহল বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবু নাঈমের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হউক বলে দাবি জানান।

error: Content is protected !!