মিঠু মুরাদ, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে তুলসী রানীর (৪৬) ও বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ওমর ফারুক (৩০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত তুলসী রানী মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী ছিলেন বলে জানা গেছে। শনিবার (২০ মে) সকালে উপজেলার কবরস্থান বাজার এলাকায় ও পাটগ্রাম বাজারে এঘটনা ঘটে। নিহত তুলসী রানী উপজেলার জোংরা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের সুবল চন্দ্রের স্ত্রী ও নিহত ওমর ফারুক রসুলগঞ্জ স্টেশন পাড়ার ৮নং ওয়ার্ডের মৃত মনর উদ্দীনের ছেলে। জানা গেছে, সকালে বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা লালমনিরহাটগামী লোকাল ট্রেন কবরস্থান বাজার এলাকায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধাক্কা দিলে রেল লাইনে কাটা পরে ওই নারী মৃত্যু হয়। নিহত তুলসী রাণীর ছেলে শংকর রায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাথার সমস্যাজনীত কারণে মানুসিক ভারসাম্যহীন হয়ে অসুস্থ ছিলেন। গতকাল বিকেল থেকেই তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও পাওয়া যায়নি। পরে খবর পেয়ে রেল লাইনের উপরে আমার মায়ের লাশ সনাক্ত করি। এদিকে সকালে কাজের খোঁজে রের হন দিনমজুর ওমর ফারুক। পরে বাজারের মোতালেব এর দোকানে পেঁয়াজের বস্তা নামানোর কাজ পান ফারুক। এতে করে পেঁয়াজের বস্তা নামানোর সময় টিনের বেড়ায় শরীর স্পর্শ হলে টিনের সাথে বৈদ্যুতিক তার লেগে থাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় দিনমজুর ওমর ফারুক। পরে তার আত্মচিৎকার শুনে বাজারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার নুর আলম বলেন, পাটগ্রামের করবস্থান নামক এলাকায় এক নারীর ত্রি-খন্ডিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, পৃথক পৃথক ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।