উজ্জ্বল কুমার দাস,পাইকগাছা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ
পাইকগাছা প্রেসক্লাবে পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা, ষড়যন্ত্র ও বিভিন্ন ভাবে হয়রানীর হাত থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার কপিলমুনি বাজারের ব্যবসায়ী পঙ্কজ কর্মকার। রবিবার পাইকগাছা প্রেসক্লাব হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, আমি সম্প্রতি সময়ে আমার বড়ভাই সুকুমার কর্মকার ও তার ছেলে পলাশ কর্মকার কর্তৃক একের পর এক ষড়যন্ত্র ও বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তিনি বলেন, আমার পিতা গোষ্ঠ কর্মকারের মৃত্যুর পর হতে ভাই এবং তার ছেলে নানা ফন্দি ফিকির করে বাবার রেখে যাওয়া স্থাবর অস্থাবর থেকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে আসছে। যার ধারাবাহিকতায় কপিলমুনি বাজারের স্বর্ণ পট্টিতে পিতার রেখে যাওয়া একটি দোকান পজিশন তার স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া এগ্রিমেন্ট বলে দখল করে নিয়ে আমাকে বঞ্চিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। আমি উপায়ন্তর না পেয়ে সহি স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয় নিয়ে পাইকগাছা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে মামলা করি। যার নাম্বার সিআর ১৩২৩/২২। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি গ্রহণ পুর্বক তদন্তের জন্য সিআইডি খুলনাকে নির্দেশ দেন। আর এ কারণে আমি সহ আমার পরিবারকে হুমকি সহ নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হয়রানি করে চলেছে তারা। সম্প্রতি বাজারের লোহাপট্টিতে অবস্থিত আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে পার্শ্ববর্তী দোকানদারদের দিয়ে তুচ্ছ ঘটনায় আমাকে ও আমার ছেলেকে ফাঁসানোর চেষ্টায় থানায় মিথ্যা অভিযোগে জিডি করিয়েছে। যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।লিখিত বক্তব্যে পঙ্কজ আরো বলেন, আমি কপিলমুনি বাজারের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবৎ কপিলমুনি বাজারে লোহাপট্টিতে অতীব সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। আমার সুনাম নষ্ট করতে সুকুমার কর্মকার ও তার গুনধর ছেলে পলাশ কর্মকার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে হয়রানির উদ্যেশ্যে সংবাদ সম্মেলনের নাটক করে এবং কপিলমুনি প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে দু'একজন সাংবাদিককে ভুল বুঝিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। যা নিয়ে সাংবাদিক মহল বিব্রত ও রীতিমতো হতবাক হয়েছে। শুধু এই নয়, ইতোপূর্বে আমার নামে কপিলমুনি বণিক সমিতি বরাবর একটি মিথ্যা অভিযোগ আনায়ন করে তারা। যা পরবর্তীতে নিজের ভুল বুজতে পেরে প্রকাশ নামে এক ব্যবসায়ী ভুল শিকার করে অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেয়। ভুক্তভোগী পঙ্কজ আরোও বলেন, উক্ত পলাশ কর্ম্মকার এতোটাই বেপরোয়া যে, সে বাড়ি যাতায়াতের রাস্তায় তার মটরবাইক দিয়ে আমাকে কয়েকবার চাপা দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমি ক্ষমা করে দিই। এতোকিছুর পরেও তাদের ষড়যন্ত্রের মিশন বন্ধ হয়নি। দলবদ্ধ হয়ে লোহাপট্টির ব্যবসায়ী গৌরপদ কর্ম্মকার, ষষ্ঠী কর্ম্মকার, গনেশ কর্ম্মকার, শৈলেন কর্ম্মকার মিলে আমি সহ আমার পরিবারকে দেখে নেবে বলে হুমকিও দিচ্ছে। কোন কারণ ছাড়াই তাদের এমন আচারণে আমি রীতিমতো ভীত সন্ত্রস্ত। কেননা উল্লেখ্য দোকান ব্যবসায়ীরা সবাই আমার গ্রামপ্রতিবেশী। যে কোন মুহূর্তে তারা আমার পরিবার সহ জান মালের ক্ষতি করতে পারে বলে আমার আশংকা। তিনি লিখিত বক্তব্যে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি তো কোন দোষ করিনি। আমার ন্যায়সঙ্গত অধিকার পিতার রেখে যাওয়া স্থাবর ও সম্পত্তি রক্ষায় আইনের আশ্রয় নিয়ে আদালতে একটি মামলা করেছি মাত্র। এতেই গাত্রদাহ ও দিকবিদিক সুকুমার কর্ম্মকার ও ছেলে পলাশ কর্ম্মকার। আইনী মোকাবেলার ভয়ে তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে লৌহপট্টির ব্যবসায়ী গৌরপদ কর্ম্মকার, ষষ্ঠী কর্ম্মকার, গনেশ কর্ম্মকার ও শৈলেন কর্ম্মকারকে আমার পিছনে লেলিয়ে দিয়েছে। এরইমধ্যে গৌর কর্ম্মকারকে দিয়ে আমার ও আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনায়ন করে গত ১১/০৮/২৩ তারিখে একটি জিডি করেছে, যার নং ৫৬৪। যা চরম মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই না। আপনাদের মাধ্যমে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।যাহাতে সুকুমার কর্ম্মকার, ছেলে পলাশ কর্ম্মকার, গৌর কর্ম্মকার সহ ষড়যন্ত্রকারী নরপিশাচদের হাত থেকে বাঁচতে পারি ও ব্যবসা বানিজ্যসহ নিরাপদে পথ চলতে পারি সেকারণে সংবাদ সম্মেলনে আপনাদের মাধ্যমে থানা ওসিসহ প্রশাসানের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।