পাইকগাছায় সুপার -গ্লু আঠা লাগিয়ে ধর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনায় মূল হোতা এনামূল গ্রেপ্তার

লেখক: Rakib hossain
প্রকাশ: 10 months ago

খুলনা (পাইকগাছা) প্রতিনিধি:

পাইকগাছায় সুপার ব্লু আঠা লাগিয়ে ধর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনায় মূল হোতা এনামূল অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার

খুলনার পাইকগাছায় সুপার ব্লু আঠা লাগিয়ে ধর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনায় মূল হোতা একাধিক মামলার আসামী এনামূল অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ পুলিশ আটক করেছে ।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এএসপি (ডি)সার্কেল সাইফুল ইসলাম ও থানা অফিসার ইনচার্জ ওবাইদুর রহমানের প্রচেষ্টায় ইন্সপেক্টর ( তদন্ত)’র নেতৃত্বে পরিচলিত অভিযানে উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত মাছের ডিপো থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় তার দেহ তল্লাশী করে ১টি দেশীয় তৈরী কোল রংয়ের অন সুটারগান,১ রাউন্ড তাজা গুলি ও ১শ পিস ইয়াবা,৫০ পিস চেতনা নাশক ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। গদাইপুরের একরামূল জোয়াদ্দারের ছেলে ধৃত এনামূলের তথ্যমতে তার মায়ের কাছ থেকে চোরাই মোবাইল ও ডুমুরিয়ার মালতিয়া গ্রামের দীপক হালদারের ছেলে স্বর্নকার সুমন হালদার (৪০)’র কাছ থেকে চোরাই স্বর্নের দুল উদ্ধার করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশ মামলায় রাড়ুলীর ছামাদ সরদার (৪৫) কে গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে পাঠিয়েছেন। আলোচিত ধর্ষনকার্ড ও দস্যুতাবৃত্তির ঘটনায় জড়িত এনামুলকে গ্রেপ্তার ঘটনায় গোটা এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।

এদিকে শুক্রবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ সম্পর্কে প্রেস ব্রিফিং করেছেন সদ্য পদন্নোতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার।
উল্লেখ্য,গত ১২ ফেব্রুয়ারী গভীর রাতে রাড়ুলীতে স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে দুর্বত্তরা বাড়ি ঘেষা গাছ বেয়ে একতলা বিল্ডিং এর চিলে কোটায় উঠে। এর পর তারা সাবল দিয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ভয় দেখিয়ে হাত-পা বেঁধে গৃহবধূর ভ্যানাটি ব্যাগ থেকে সাড়ে ১১ হাজার টাকা,১টি বাটন মোবাইল ও টেনে হেচড়ে কানে থাকা দু-আনা ওজনের দু’টি স্বর্নের দুল ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে দুর্বৃত্তরা গৃহবধূর চোখে মুখে সুপার গ্লু আঠা লাগিয়ে উপুর্যুপরি ধর্ষন করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ভোর রাতে প্রতিবেশিরা টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী মান্নান সরদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ সম্পর্কে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইনস্পেক্টর( তদন্ত) তুষার কান্তি দাশ জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ ঘটনায় মূল হোতা এনামূলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরোও বলেন, অন্য একটি চুরির ঘটনায় স্বর্ন উদ্ধারের ঘটনায় আটক সুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ওবায়দুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় অন্য কারা জড়িত আরোও জানতে হলে গ্রেপ্তারকৃত এনামুলকে ব্যাপক জিসাজ্ঞাবাদ জরুরী। ভিকটিমের শারিরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে
তিনি বলেন,খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভিকটিম অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছেন।

error: Content is protected !!