মোঃ ওয়াজেদ আলী,স্টাফ রিপোটার :
মণিরামপুরের রাজগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা ভাসমান সেতুতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রচুর দর্শনার্থীর দেখা মিলছে।
শনিবার দিনব্যাপী রাজগঞ্জ ঝাঁপা ভাসমান সেতুর উপর এই গণমানুষের উপচে পড়া ভিড়। জানাযায় প্রতিবছরের ন্যায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যশোর মনিরামপুর রাজগঞ্জ ঝাঁপা ভাসমান সেতুতে বিভিন্ন জেলা উপজেলা এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঝাঁপা ভাসমান সেতুটি এক নজর দেখার জন্য এবং সেতুর উপর দিয়ে এপার ওপার চলাচল করতে গণমানুষেরা আনন্দে উচ্ছাসিত। সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঝাঁপার বাওড়ের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় এই বাউড়ের দুই সাইট দিয়ে গণমানুষেরা তাদের পরিবার নিয়ে আনন্দে উপভোগ করতে দেখা যায়। এ বিষয়ে ঝাঁপা গ্রামে গণমানুষের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই ঝাঁপার বাওড় এর উপর দিয়ে এবং এপার ওপার চলাচলের জন্য ঝাঁপা গ্রামের গণমানুষেরা এই ভাসমান সেতু তৈরি করেন। ঝাঁপার গ্রাম এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনরা দীর্ঘদিন ধরে ট্রলার বা নৌকা করে এপার ওপার যাতায়াত করতো এই ঝাঁপার গ্রামের গণমানুষেরা তাদের জমিতে ফসল তরকারি ধান পাট চাষাবাদ করে তাদের ফসল গুলো বাজারজাত করতে বাধাঁর সম্মুখিনী হতো তাই ঝাঁপার গ্রামের জনগণ তারা তাদের সমস্যা সমাধান করতে তাদের জমিতে ধান পাট তরকারি ও খাদ্য দ্রব্য বাজারযাত করতে সিদ্ধান্ত নিল আমরা এই বাওড়ে এর উপর দিয়ে একটি ভাসমান সেতু তৈরি করবো। যাতে আমাদের গ্রামের মানুষ এবং আত্মীয়-স্বজনেরা চলাচল বাজারজাত খাদ্যদ্রব্য ও এপার ওপার যাতায়াতের জন্য কোন বাধা সৃষ্টি না হয়। তাই ঝাঁপার মানুষেরা এই কঠিন অগ্নি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ঝাঁপার বাওড়ের এর উপর দিয়ে তৈরি করলো একটি ভাসমান সেতু এতেই স্বস্তি ফিরে এলো ঝাঁপার অঞ্চলের গ্রামের মানুষের আর এই ভাসমান সেতুটির বর্তমান নাম করন করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ভাসমান সেতু নামে।
ৃ