আলিফ আরিফা,কালীগঞ্জ(গাজীপুর)প্রতিনিধি :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর -৫ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি'র পক্ষে কাজ করায় কর্মী সমর্থকদের বাড়ি, দোকানপাট ও নৌকার মার্কার অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামানের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সময় তাদের হামলায় শিকার হয়েছেন ফয়সাল ট্রেডাসের মালিক মোঃ জুয়েল শেখ, জাঙ্গালীয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান, সুলতান মাষ্টার, মস্তফা, রাসেল, হাবিবুর রহমান, সিজান বেপারী ও স্বজল শেখ।এদের মধ্যে মোঃ জুয়েল শেখ ও সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান গুরুতর আহত হন। সহিংসতায় নৌকা প্রতীকের সর্মথক মোঃ জুয়েল শেখ জানান- নৌকার নির্বাচন করাটাই কি আমার অপরাধ! স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতীকের কর্মীরা রাথুরা বাজারে আমার রড সিমেন্টের দোকানে ঢুকে দোকানের সাটার বন্ধ করে ১০(দশ) লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে বলে তুই নৌকার লোক বাঁচতে চাইলে টাকা দে নইলে এলাকা ছাড়। এ কথা বলেই তারা আমাকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং ক্যাশে থাকা নগদ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতিকারীরা। পরে স্থানীয়রা তাকে আহতবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান জানান-আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে জাঙ্গালীয়া মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে রাথুরা বাজারে পৌছলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতীকের কর্মীরা আমার মোটরসাইকেলের গতি রোদ করে এলোপাতাড়ি মারধর করে আমাকে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।এ ঘটনায় মোঃ জুয়েল শেখ বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।এ বিষয়ে গাজীপুর-৫ আসনের বার বার নির্বাচিত সাংসদ, কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন- নির্বাচন হচ্ছে একটি আনন্দের বিষয় এখানে হার জিত থাকবেই। জিতে গেলেই পতিপক্ষের কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা, মামলা, ভাংচুর লুটপাট করতে হবে এটাতো নেতার বৈশিষ্ট্য হতে পারেনা। আমি এরকম একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে জানা যায়, উপজেলার মৈশার বাজার, রাথুরা, ডেমরা নতুন বাজার, ধনপুর, চান্দের বাগ, নোয়াপাড়া ও মোহানী এলাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির পক্ষে কাজ করায়, সদ্য নির্বাচিত সতন্ত্র প্রার্থী আক্তারুজ্জামানের কিছু সংখ্যক নেতা কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে নৌকার অফিস ভাঙচুর ও নেতাকর্মী সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।এবিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম তোরণ সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের পর কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি, এরকম কোন ঘটনা কেউ ঘটালে আমরা তাদের আইনের হাতে তুলে দিবো।কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন এই প্রতিবেদকে বলেন, নির্বাচনে পর মোক্তারপুর ইউনিয়ন এলাকায় সহিংসতার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।