এফ এম হাসান, সুনামগঞ্জ থেকেঃ-
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সীমান্তে ভারত থেকে চোরাই পথে কয়লা আনতে গিয়ে গুহায় পাথর চাপা পড়ে এক শ্রমিক নিহত হয়েছে। নিহতের নাম মো. আক্তার হোসেন (১৮)। তিনি জেলার তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের লাকমা গ্রামের আব্দুল নুর এর ছেলে।
শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে সে ভারতের সীমানায় ভারতীয় বাহিনী বিএসএফ এর চোখ ফাকিঁ দিয়ে গুহার ভেতরে ঢুকে চোরাই কয়লা ভাঙ্গার চেষ্টাকালে তার মাথায় পাথর পড়ে তিনি ঘটনাস্থলেই পাথর চাপা পড়ে মারা যান।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় শনিবার (৫ আগস্ট) নিহত যুবকের সহযোগিরা ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বিএসএফের চোখ ফাঁকি দিতে গিয়ে, বস্তাবন্দী করে লাশ বাংলাদেশে নিয়ে আসে।
এই ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার আশপাশ গ্রামের কিছু চিহিৃত চোরাকারবারী রয়েছেন যারা প্রকাশ্যে দিরালোকে অথবা রাতের আধাঁরে বাংলাদেশের সীমান্ত বাহিনী বিজিবি ও থানা পুলিশের চোখ ফাকিঁ দিয়ে অথবা কিছু সদস্যদের সাথে আতাঁত করে দীর্ঘদিন ধরে চোরাকারবারী চক্রটি ভারত থেকে চোরাই পথে ভারতীয় কয়লা,মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যাসামগ্রী বাংলাদেশে নিয়ে আসছেন বলে জানা যায়। এদিকে নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সীমান্ত এলাকার কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,অরক্ষিত সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রায়ই চোরাকারবারীরা অবৈধ ভারতীয় কয়লাসহ নেশা জাতীয় দ্রব্য সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে অধিক মুনাফা নিচ্ছেন।
তাদের আশংঙ্কা সীমান্ত এলাকা যদি অরক্ষিত থাকে তাহলে আগ্নেয়ান্ত্র সহ সন্ত্রাসীরা দেশের সীমানার ভেতরে প্রবেশ করাটা ও অমূলক নয়। ফলে যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড।
এই ধরনের বিয়টি নজরে আনতে সীমান্ত বাহিনীর সদস্যসহ জেলা প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
এ ব্যাপারে তাহিরপুরের ট্যাকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রাশেদুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান এ ধরনের অবৈধ কয়লা ভারত থেকে আন বন্ধ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।