তুহিনুর রহমান তালুকদার , স্টাফ রির্পোটার :-
নবীগঞ্জ থানা পয়েন্ট সিএনজি শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ফয়েজ আহমদ (৩৫) সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। এ সময় খাদিজা চৌধুরী ভেরাইটিজ স্টোর নামে একটি দোকান ভাংচুর ও নগদ টাকাসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম। ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের ওসমানী রোডস্থ সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায়।
সুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ থানা পয়েন্ট সিএনজি শ্রমিক সংগঠনের নামে দীর্ঘ দিন ধরে একটি সংগঠন নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনসহ পরিচালিত হয়ে আসছে। এখানে ওই সংগঠনের তত্ত্বাবধানে দু’টি স্ট্যান্ড পরিচালিত হয়ে আসছে। নবীগঞ্জ -বানিয়াচং রোডে একটি, নবীগঞ্জ কাজিরবাজার রোডে একটি। দুই স্ট্যান্ডে মিলে প্রায় ২৫ জন ম্যানাজার নিয়োজিত রয়েছেন। এদের মধ্যে সাবেক কাউন্সিলর রাজনগর গ্রামের সুন্দর আলী ছেলে, ভাই, ভাতিজা রয়েছে। সম্প্রতি বানিয়াচং রোডের স্ট্যান্ড জবর দখল করেন সাবেক ওই কাউন্সিলর সুন্দর আলী, তার ভাই রফি উদ্দীনগংরা। এ নিয়ে শ্রমিক সংগঠনের সাথে বিরোধ দেখা দেয়। এই ঘটনা নিয়ে শ্রমিক অফিসে সংগঠনের সদস্যদের মিটিং বসে। এখানে উভয় স্ট্যান্ডে মিলেমিশে পরিচালনার জন্য ঐক্য মত হলে বাদ সাধেন সাবেক কাউন্সিলর সুন্দর আলী, তার ভাই রফি উদ্দীন। এনিয়ে বাকবিতন্ডার কারনে সভা ভন্ডুল হয়। সাবেক ওই কাউন্সিলর ও তার ভাইয়ের দাবী নীচের স্ট্যান্ড তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং উপরের স্ট্যান্ডে তাদের ভাগ দিতে হবে।
এই দাবী শ্রমিকরা না মানায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। এদিকে সিএনজি শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ফয়েজ আহমদ স্ট্যান্ড সংলগ্ন খাদিজা ভেরাইটিজ স্টোরে বসে চা খাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে সাবেক কাউন্সিলর সুন্দর আলীর নেতৃত্বে রফি উদ্দীন, কবির মিয়া, শাওন, শয়ন, রিকু, আলীম,শিমুল, রিয়ন, মিছুসহ একদল সন্ত্রাসী ফয়েজ আহমদের উপর হামলা চালায়। অবস্থা বেগতিক দেখে দোকান মালিক সামনের সাটার লাগিয়ে শেষ রক্ষা করতে পারেন নি।
সন্ত্রাসীরা দেশীয় ধারালো নিয়ে দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয় রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় দোকানের আসবাবপত্র ভাংচুর, ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ টাকাসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরে শ্রমিকরা আহত সংগঠনের সভাপতি ফয়েজ আহমদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে এসআই কাদের এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় বড় ধরনের সহিংসতা ঘটনার সম্ভবনা আশংকা করছেন স্থানীয় লোকজন। এ ব্যাপারে ওসি কামাল হোসেন পিপিএম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।