স্টাফ রিপোর্টারঃ
নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার পাখিমারা আটারো বাকি নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে কিছু অসাধুচক্র। যার ফলে নদীর পাড়, বাড়িঘর, ফসলি জমি সহ হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। যত্রতত্র ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করায় আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।এ বিষয়টি জনপ্রতিনিধিদের জানালেও তা কোনো কাজে আসছে না বলেও জানান এক ভুক্তভোগী । সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পাখিমারা আঠারোবাকি নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও অবৈধ মেশিন গুলোর মালিকরা এলাকার পরিত্যক্ত খাল, ডোবা,পুকুর ও নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বলে জানা যায়।এ সংক্রান্ত বিষয়ে পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জেফরুল সরদার আঠারোবাকী নদীতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে বলে উক্ত এলাকার ভুক্তভোগী আইয়ুব আলী খাঁন কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকিতে পড়েছে পাড়ের ঘরবাড়ি সহ এলাকার পরিবেশ। আমরা এই জমিতে ১৯৮০ সাল থেকে বসবাস করছি বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাড় ভেঙ্গে যাচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে যে কোন সময় আমাদের ঘর ভাঙ্গনের কবলে অথবা ডেবে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এ বিষয়ে কিছু বলতে গেলে আমাদের ভয়ভীত দেখানো হচ্ছে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।এই অবৈধ ড্রেজার দিয়ে উত্তোলনকৃত বালু পাখিমারা ও ডুটকুরা সংযোগ সড়কটি ভরাট করা হচ্ছে । তাছাড়া কম খরচে সহজ পদ্ধতিতে বালু পাওয়ায় ঠিকাদারদের পাশাপাশি বসতবাড়ি নির্মাণে ও পরিবেশ বিধ্বংসী এই ড্রেজার ব্যবহার করা হচ্ছে। বালুর বিক্রেতা রাজু ও মেম্বার জেফরুল সরদার ড্রেজার ভাড়া করে নদী থেকে রাস্তার কাজে বালু উঠাচ্ছে বলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়।এ বিষয়ে অভিযুক্ত জেফরুল মেম্বার এর কাছে বালু উত্তোলন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন আমি অভিযোগের সম্পর্কে শুনেছি তবে বিষয়টি সঠিক না। কিন্ত এভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন অবৈধ, আমি বালু উত্তোলন কারিদের সাথে কথা বলে তাদের এখান থেকে সরে যেতে বলবেন বলে তিনি জানান।