সাজ্জাদ তুহিন নড়াইল প্রতিনিধি :
নড়াইল সদর উপজেলায় বাসনা মল্লিক (৪৫) নামে এক ইউপি নারী সদস্য’র রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে যশোরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত ইউপি নারী সদস্য উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের পোড়াডাঙ্গা গ্রামের নেপাল মল্লিকের স্ত্রী । তিনি মাইজপাড়া ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মেম্বর ছিলেন।
পারিবাবিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) রাতে বাসনা মল্লিক রাত ৮টার দিকে বাড়িতে ফিরে এসে কয়েকবার বমি করেন। এরপর রাতে খাওয়া শেষে পরিবারকে তেমন কিছু না বলে ঘুমিয়ে পড়েন। বুধবার তার অবস্থার অবনতি হলে দুপুরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে।
তবে নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক স্থানীয় একটি মহলের দাবি তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। পরে লজ্জায় কীটনাষক পানে আত্নহত্যা করেছে।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম মেম্বর হত্যার বিষয়টি রহস্যজনক উল্লেখ করে বলেন,‘আমরা এ বিষয়টি দুপুরের পর জেনেছি। কয়েকজন স্থানীয়ব্যক্তির কাছ থেকে শুনেছি বাসনার সাথে পাশের দৌলতপুর গ্রামের একটি ছেলের পরকিয়া সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় ২-৩ জন বিষয়টি হাতে-নাতে ধরে ফেলে।
এ সময় তার কাছ থেকে কিছু অর্থ জরিমানা আদায় করতে পারেন এবং তাকে যৌন হয়রাণীও করতে পারে। পরে সে লজ্জায় বিষ জাতীয় কিছু পান করতে পারে। বিষয়টি প্রাথমিক তদন্তের পর্যায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছে এবং শুক্রবার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে এ ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে যে ছেলের সাথে পরকিয়া সম্পর্কেও কথা শোনা গেছে এবং যাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে তারা পলাতক রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম বলা সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে নিহতের ছেলে রিংকু মল্লিক বলেন,আমার মার সাথে খারাপ আচরণ করা হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে মাইজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সফুরা খাতুনকে কি কারণে নারী ইউপি মেম্বর মারা গেলেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বাসনা মারা গিয়েছে এ পর্যন্ত জানি। মৃত্যুর কারণ জানিনা। এ বিষয়ে ফোন করে আমাকে বিরক্ত করবেন না