সাজ্জাদ তুহিন,নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইল লোহাগড়া উপজেলায় তামিম খান (১৬) নামে এক ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত তামিম খান নড়াইল সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের হাড়িগাড়া গ্রামের রুবেল খানের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আমিনুলসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৫ জানুয়ারি (রোববার) সকাল ১১টার দিকে লোহাগড়া পৌরসভার মশাঘুনী এলাকার আইয়ুব হোসেন বিশ্বাসের বাড়ির পশ্চিম পাশের ঝোপ থেকে ওই ভ্যানচালক তামিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,গত ৩ জানুয়ারি শুক্রবার বিকালে ভ্যানচালক কিশোর তামিম খান নিখোঁজ হয়। পরে স্বজনরা তাকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে নিহত কিশোরের চাচাতো ভাই জানায়, তামিম অভিযুক্ত আমিনুলকে ভ্যানে নিয়ে যেতে দেখেছে। পরে নিহতের স্বজনরা অভিযুক্ত আমিনুলকে আটক করে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়।
পরে সদর থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুল স্বীকার করে যে, তামিমকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে হত্যার পর লোহাগড়া পৌর সভার মশাঘুনি এলাকার আইয়ুব হোসেন বিশ্বাসের বাড়ির পশ্চিম পাশের ঝোপে ফেলে দেয় এবং চোরাইকৃত ভ্যানটি বিক্রি করে।
পরে নড়াইল সদর থানা পুলিশের ওসি সাজেদুল ইসলাম ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল লোহাগড়া উপজেলার মশাঘুনি এলাকা থেকে লোহাগড়া থানা পুলিশের উপস্থিতিতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে আসামি আমিনুলকে লোহাগড়া থানায় হস্তান্তর করেন।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের ওসি সাজেদুল ইসলাম জানান, আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে তামিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাকে লোহাগড়ার মশাঘুনি এলাকায় ফেলে দিয়েছে। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনাস্থল থেকে মরদেহর সন্ধান পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আটক আমিনুল সদর উপজেলার হবো খালী ইউনিয়নের নয়াবাড়ি গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। অন্যান্যরা হলো নাওরা গ্রামের নেহাল উদ্দিনের ছেলে সরোয়ার হোসেন (৪২), তার ছেলে ইসমাইল (১৭), ঈমান শেখের ছেলে সলেমান শেখ (৩১) এদের কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের ওসি মো. আশিকুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবং ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।