সাজ্জাদ তুহিন নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইল এবার পৌরসভার কোনরকম অনুমতি ছাড়াই জেলা পরিষদ কতৃক জবর দখল নিয়ে অবৈধ ভাবে দোকানঘর স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে।
০৩ রা, নভেম্বর (শুক্রবার) সরজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১৮ অক্টোবর ২০২৩ নড়াইল পৌরসভা কতৃক ৪৩৭৪ নং স্বারকে নড়াইল জেলা পরিষদ অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা পুলিশ সুপারসহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে একটি আবেদন দাখিল করে। তবে এর মধ্যে জেলা পরিষদ রেজিষ্ট্রিকৃত অবহিত করন আবেদনটি গ্রহন করেননি।
আবেদনে বলা হয় সদর পৌরসভার দূর্গাপুর ভূমি রেজিষ্ট্রি অফিসের সামনে অর্থাৎ মসজিদের সামনে মাগুরা মহাসড়কের সাথে মিশিয়ে জেলা পরিষদ কতৃক কোন রকম পৌরসভার অনুমতি ছাড়াই অবৈধ ভাবে দোকান ঘর মার্কেট নির্মাণ কাজের লিজ হিসাবে ইজারা দেয়। যার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আবেদনে আরও বলা হয় ১৯৯৬ সালের স্থানীয় সরকারের বিধিমালা অনুযায়ী পৌরসভার মধ্যে পৌরসভার অনুমোদন বিহীন সরকারি বা আধা- সরকারী বা ব্যাক্তি মালিকানা স্বায়ত্বশাসিত পাকা বা আধাপাকা স্থাপনা নির্মাণ করিতে পারিবে না। এর ব্যাতিরিক্ত যদি কেউ বা কোন প্রতিষ্ঠান জবরদখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে তা হলে সরকারি বিধিনিষেধ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে মেয়র কতৃপক্ষ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
তবে স্থানীয় সরকারের এ দৈত্যনীতিতে নগরবাসী ভিন্ন ভিন্ন মতামত পোষণ করতে সোনা গেছে। কেই কেউ বলছেন স্থানীয় সরকারের জেলা পরিষদ পৌরসভার অভ্যন্তরীণ ও রেষারেষির কর্মকাণ্ডের ফলে নগরবাসি উন্নয়নের ছোওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে বাধা গ্রস্ত হচ্ছে নগর উন্নয়ন প্রকল্পনায় সরকারের বরাদ্দকৃত বিভিন্ন স্থাপনা মার্কেট রাস্তা ঘাট ও দৃষ্টি নন্দিন প্রকল্প গুলি।
এ বিসয়ে পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরার কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক দের বলেন, আমি আমার কোন ব্যাক্তি কেন্দ্রীক উন্নয়ন করছিনা, যা কিছু করছি তা কেবল প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী নগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় সাধারণ জনগনের আশানুরূপ চাহিদা মেটাতে করছি। কিন্তু একটি স্বার্থন্বেষী মহল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আইনের বেড়াজালে উন্নয়ন কার্যক্রমকে বাঁধা গ্রস্ত করছে। ফলে পৌরসভার নগর উন্নয়ন অগ্রগতি মুখ থুবড়ে পড়ছে।
ইতিমধ্যে যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে কালিদাস ট্রাক কে এবং চৌরাস্তা পুরাতন বাজারে চান্দিনা নির্মানে নতুন ভাবে সাজাতে গেলে জেলা পরিষদ আইনের মারপ্যাচে স্থগিত হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র বোসের সাথে মুঠোফোনে জেলা পরিষদে দোকানঘর মার্কেট নির্মাণ কাজ স্থগিত বা স্থাপনা সরানোর জন্যে পৌরসভার কোন নোটিশ পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন নোটিশ পায়নি তবে শুনেছি। দুর্গাপুর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের সামনে যেখানে দোকানঘর স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে ওটা আমার জেলা পরিষদের জায়গা। ওই যায়গা আমরা লিজ দিয়েছি। পৌরসভা যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে উচ্ছেদ করুক।