নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইল সদর উপজেলার সাহা বাদ ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামে নিজ স্ত্রী মিশরী খাতুন ও তার দুই সন্তান কে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে।
২৬ জুলাই (বুধবার) সন্ধ্যায় অভিযোগ কারির পিতা মোহাম্মদ ইকরামুল হকের দেওয়া তথ্যমতে ও তার মেয়ে মিশরী খাতুনের ৪ঠা জুলাই নড়াইল বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে করা মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ জুন,আলোকদিয়া গ্রামের স্ত্রী মিশরী খাতুন (৩২) কে তার স্বামী মোহাম্মদ মহিদুল আলম খাঁন (রানা) ও তার ভাই সোহাগ খাঁন (৩২) স্ত্রী মিশরী খাতুন কে পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক আনিয়া দিতে মারাত্মক মানসিক নির্যাতন করিতে শুরু করে। এমনকি স্ত্রী মিশরী খাতুনকে তাহার বসতবাড়ী ছাড়িয়া চলিয়া যাইতে বল।
এসময় স্ত্রী মিশরী খাতুন প্রতিবাদ করায় স্বামী মোহাম্মদ মহিদুল আলম খাঁন (রান) ও তার ভাই সোহাগ খাঁন গত ২৮ জুন রাতে মিশরী খাতুনকে ব্যাপক মারধর করে মারাত্মক জখম করে। এঘটনা পার্শ্ববর্তী চা বিক্রেতা মোহাম্মদ আবু তাহের মেয়ের বাবা কে বিসয়টা ফোনে জানালে তিনি দ্রুত পুলিশের হট লাইন ৯৯৯ এ সহায়তা চাইলে পুলিশ অভিযোগ কারীকে ঘটনা স্থলে আসতে বলে। এবং পুলিশ শেখান থেকে মিশরী খাতুন কে উদ্ধার করে তার পিতার কাছে হস্তান্তর করে। পরে পুলিশের সহযোগিতাতায় তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে।
কিন্তু মিশরী খাতুনের চোঁখের আঘাত গুরতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখান থেকে তিনি চিকিৎসা নিয়ে নড়াইল সদর থানায় এজাহার রুজু করিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ এজাহার গ্রহন না করায় ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় মিশরী খাতুন গত ৪ঠা জুলাই নড়াইল বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল অত্র নালিশি মামলার অভিযোগ দাখিল করেন।
এবিসয়ে অভিযোগ কারী মিশরী খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক দের জানানা, আমার স্বামী মোহাম্মদ মহিদুল আলম খান (৩৭) বাংলাদেশ ট্রাফিক পুলিশের সদস্য ও একজন যৌতুক লোভী। গত ১০ ডিসেম্বর ২০০৮ সালে পারিবারিক ভাবে তার সাথে আমার বিবাহ হয়। এবং আমাদের দুটি সন্তান ও রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আমাকে বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করে আমার পিতার কাছথেকে বাড়ির কাজ করতে বিভিন্ন সময় ধার হিসাবে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছে। সেই টাকা আমার পিতাকে ফেরত দিতে বল্লে আমাকে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ জুন ২০২৩ রাতে আমাকে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করে আমার স্বামী ও তার ভাই শোহাগ আমার ছেলে মেয়ে সহ আমাকে আমার আলুকদিয়ার বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। তবে এবিসয় অভিযুক্ত মোহাম্মদ মহিদুল আলম খান রানার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এবং অপর অভিযুক্ত তার ছোট ভাইয়ের দোকানে গেলে দোকানও বন্ধ দেখা যায়।