![](https://newsbdjournalist24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
সাজ্জাদ তুহিন,নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলে লোহাগড়া উপজেলা থানার কতৃপক্ষ মামলা নিতে গড়িমসি করায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভূগী নওখোলা গ্রামের বাসিন্দা আনছার উদ্দিন মোল্যা।
বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো: আব্দুল হাই পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর গত ২৬ নভেম্বর চিঠি প্রেরণ করেন।
অভিযোগকারীর অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ, গ্রাম্য দলাদলি ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় গত ৭ অক্টোবর থানায় মামলা দায়েরের ঘন্টাখানেক পর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষ আসামি লোহাগড়া উপজেলার নওখোলা গ্রামের ফেরদৌস মোল্যা, হান্নান মোল্যা হানিফ, আকরাম মীর, জিরু আলীসহ দলীয় লোকজন মামলার বাদি আনছার মোল্যা ও তার স্ত্রী রহিমা বেগমকে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি, মৃত্যুভয় দেখিয়ে রাতে ৩টি গরু, ১৭টি হাঁস, পুকুরের ৫মণ মাছ, ১৮ মণ পাট, ১০মণ চারা পিঁয়াজ, স্যালো ইঞ্জিন মেশিন, ১টি ভ্যানসহ অন্যান্য মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
তবে আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতায় পরের দিন ৩টি গরু উদ্ধার হয়। ৮ অক্টোবর পূনরায় বাদি ও তার স্ত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাত ৯টার দিকে নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং ৩ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে ১লাখ ৩০হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে অভিযুক্ত আসামিরা। পরবর্তীতে আসামিরা জোরপূর্বক আনছার উদ্দিনের স্বাক্ষর করিয়ে নেয় দুটি সাদা স্টাম্পে।
ঘটনা ও আসামিদের নাম উল্লেখ করে ৫ নভেম্বর লোহাগড়া থানায় এজাহার দায়ের করেন আনছার উদ্দিন মোল্যা। মামলাটি নিতে পুলিশ গড়িমসি করায় তিনি ১৪ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।এ ঘটনায় দায়ের করা এজাহারটি নানা অজুহাতে পুলিশ এখনো মামলা হিসেবে নেয়নি বলে জানা গেছে।
এর আগে গত বছরের ৪ অক্টোবর রামদা, ছ্যানদা, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আনছার উদ্দিন মোল্যার বাড়িতে প্রথম দফায় হামলা চালায় প্রতিপক্ষ একই গ্রামের হান্নান মোল্যা হানিফ, ফেরদৌস মোল্যা, জিরু আলীসহ দলীয় লোকজন। ওইদিনের হামলায় আনছারের স্ত্রী রহিমা বেগম এবং কন্যা ফিরোজা খানম রক্তাক্ত গুরুতর জখম হন।
হামলাকারীরা এসময় আনছারের ঘরে ঢুকে নগদ ২লাখ ১০হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৭ অক্টোবর হান্নান মোল্যা হানিফ, ফেরদৌস মোল্যা, জিরু আলীসহ ৯জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের হয়।
এ অবস্থায় এখনও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা এবং হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আশিকুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।অপরাধী যে-ই হোক বা যে কোন দলেরই হোক কোন ছাড় দেওয়া হবেনা।