নড়াইলে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাত পা বেঁধে আকাশ শেখ নামের এক যুবককে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে।

গত ২ জুলাই (রোববার) রাতে লোহাগড়ার কাশিপুর ইউনিয়নের শালবরাত এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। পরে হাত পা,মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে আনলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিংসা দিয়ে উন্নত চিকিংসার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। আকাশ শেখ ওই এলাকার কাইজার শেখ এর ছেলে।

জানা যায়, শালবরাত এলাকার আখছির শেখ এর ছোট মেয়ে মোসাম্মাদ চাঁদনি ওরফে পুতুলের সাথে কাইজার শেখ এর ছেলে আকাশ শেখ এর দীর্ঘদিনের প্রেমজ সম্পর্ক ছিল। তার জের ধরে আকাশ শেখকে আখছির শেখ এর বাড়িতে ডেকে নিয়ে হাত পা,মুখ বেঁধে হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে তার বিভিন্ন স্থানে জখম করে আখছির শেখ ও তার বড় ছেলে আজিম শেখ ও ছোট ছেলে আশিক শেখ।

আহত আকাশের বাবা কাইজার শেখ জানান, আমার ছেলে আকাশের সাথে আখছিরের ছোট মেয়ে পুতুলের প্রেম ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। কিছুদিন আগে আমার ছেলের সাথে সংসার করবে বলে পুতুল কাউকে কিছু না জানিয়ে আমাদের বাড়িতে চলে আসে। আমরা বিষয়টি সাথে সাথে এলাকার চেয়ারম্যান ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা সালিশের মাধ্যমে তাদের মেয়ে পুতুল কে তার বাবা আখছিরের হাতে তুলে দেয়।

এরই সূত্র ধরে গত ২ জুলাই রেববার রাতে আমার ছেলেকে ফোন করে পুতুলের বড় বোন মোসাম্মাদ বনানি খানম তাদের বাড়ির পাশে আসতে বলে। আমার ছেলে তাদের বাড়ির পাশে গেলে আখছির ও তার ছেলেরা আমার ছেলে আকাশ শেখ কে জোর পূর্বক  তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তার হাত পা,মুখ বেঁধে পঙ্গুকরার উদ্দেশ্যে লোহার হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে বিভিন্ন স্থানে জখম করে আমাদের সংবাদ দিলে আমরা যেয়ে হাত পা,মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করি।

এবং প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাৎক্ষণিক নড়াইল সদর হাসপালে রেফার্ড করে। পরে উন্নত চিকিংসার জন্য আমরা তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। আমার ছেলে এখন নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিংসাসাধীন অবস্থায় আছে। আমার ছেলেকে যারা মারছে আমি তাদের বিচার চাই।

আহত আকাশ শেখ এর কাকা মোঃ রওশন শেখ জানান, আমার ভাইপোকে আকছির শেখ ও তার দুই ছেলে তাদের বাড়ি নিয়ে যেয়ে হাত পা বেঁধে মধ্য মধ্যযুগীয় কায়দায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাঁতুর ও রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে। আকছির শেখ এর মেয়ের সাথে আমার ভাইপোর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার জের ধরে আমার ভাইপোকে হাতুর ও শাবল দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন। আমরা এর বিচাই চাই।

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।