নড়াইলে জিয়া মোল্লার বিরুদ্ধে কবরস্থানের জায়গা দখল দিতে গর্ত খুড়ে মাটি বিক্রির অভিযোগ

লেখক: Champa Biswas
প্রকাশ: 1 year ago

নড়াইল প্রতিনিধি:

নড়াইলে লোহাগড়া উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের এ্যাড়েন্দা গ্রামের পশ্চিম পাড়ার একমাত্র কবরস্থান ও পার্শ্ববর্তী বাড়িঘর উচ্ছেদ করে দখল নিতে অভিনব কায়দায় মাঝ খানের নিজ জমিতে মাটি খুড়ে বিশাল আকৃতির পুকুর কেটে ষড়যন্ত্র লিপ্ত একই গ্রামের মৃত্যু আবুল মোল্লার ছেলে জিয়া মোল্লার বিরুদ্ধে।১১ সেপ্টেম্বর (সোমবার) দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাস্তব ঘটনার চিত্র। পাশাপাশি স্থানীয় দের সূত্রে জানা যায় লক্ষিপাশা বাজারের ব্রিজ হতে সোজা পশ্চিম দিকে এ্যাড়েন্দা বাজারের পরদিয়ে সারুলের পাশদিয়ে নদীর কুল ঘেষে সদরের চন্ডিবারপুর ইউনিয়নের অভিমুখে এলজি ইডি এর পাকা রাস্তা থাকলেও সেটাকে রক্ষণা বেক্ষনের নেই কোন তদারকি বা কতৃপক্ষের নজরদারি।

এরমধ্যে এ্যাড়েন্দা বাজারের পশ্চিম পাশে অর্থাৎ চন্ডিবারপুর ইউনিয়নের দিকে যেতে ওই এলাকায় কোন কবরস্থান না থাকায় একজন বীর মুক্তি যোদ্ধার মরহুম আবুল বাশারর (বাচ্চু) পরিবার মানবিকতায় নিজ জমির প্রায় ৪৮ শতাংশ জমি দানপত্র করে দেন এলাকার মুসলমানদের দাফন কাফনের জন্যে।জায়গার সল্পতার কারনে পাশের জমির মালিক জিয়া মোল্লা কে স্থানীয় এলাকাবাসী বহু অনুনয়-বিনয় করে কবর স্থানের নামে দিতে অনুরাধ জানায়। এমনকি জমির বর্তমান বাজার মুল্যে বিক্রি করতে বল্লেও জিয়া মোল্লা জমি দিতে গুড়ি মুশি করতে থাকে। একপর্যায়ে কিছুদিন পরে ওই জমি লিজ দেন বছরে বিশ হাজার টাকা চুক্তিতে একাই গ্রামের নাসির ও মিজানের কাছে।

কিন্তু নাসির ও মিজান সেখান থেকে মাটি কেটে গভীর গর্ত খুঁড়ে সেই মাটি অনত্রে বিক্রি করে দেয় তারা। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার ও এলাকাবাসী মাটি কাটতে বাঁধা সৃষ্টি করলে জিয়া মোল্লা গর্তটি বালি দিয়ে ভরাট করে দিবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু জমির মালিক জিয়া মোল্লা গর্তটি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বালি দিয়ে ভরাট করে বন্ধ না করায় এলাকার একমাত্র কবর স্থানটি ও আশপাশের বসবাসরত বাসিন্দা আমির হোসেন, মিহির, জহুর, রমজান,সহ একমাত্র যাতায়াতের এলজিইডি এর রাস্তাটি ও এখন ঝুকির মুখে পড়েছে। যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে গোরস্থান ও আশপাশের বাড়িঘর এবং পাকা রাস্তাটি।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী আমির হোসেন সাংবাদিক দের জানান আমি একজন অসুস্থ পঙ্গু অসহায় জোন বেচি দিন আনি দিন খাই এইটুকু জমির উপর এই ঘর ছাড়া আমার আর কিছুই নাই। আমি জিয়া মোল্লা কে অনেকবার বলেছি এখান থেকে মাটি কেটে গর্ত করলে আমার বাড়ি ঘর সব ভেঙ্গে যাবে। এছাড়া এলাকার একমাত্র কবরস্থান ও যাতায়াতের পাকা রাস্তাটি ও ভেঙে যাবে। একথা তিনি কর্ণপাত না করে চলে যান।এবিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম বাসারের স্ত্রী ও বোন কন্যা ভারাক্রান্তে সাংবাদিক দের জানান,আমরা গ্রামের মানুষের কথা ভেবে ওই যায়গাটি কবরস্থানের জন্য দান করেছি। এখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাশার সহ গ্রামের অনেকেই দাফন করা হয়েছে। কিন্ত এর পাসের জমির মালিক অন্যত্রে লিজ দিয়ে সিমানা জুড়ে পুকুর কাটায় কবরস্থান ও মেন পাকা সড়কটি সহ একজন পঙ্গু অসহায়ের বাড়ির একটি অংশ পুকুরে বিলিন হয়ে গেছে। তাই আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের ব্যাবস্থা গ্রহণে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এবিষয়ে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক দের বলেন, ওখানে মাটি কেটে গর্ত করলে আমি জিয়া মোল্লা কে মাটি ভরাট করে গর্ত বন্ধ করে দিতে বলেছি। কিন্তু ওরা আমার কথা শুনে নাই ওরা একটা বাজে প্রকৃতির মানুষ। লোহাগড়া উপজেলা এসিল্যান্ড এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এবিসয়ে কিছু জানিনা,তবে এখন যখন জেনেছি আমি ওই ইউনিয়নের নায়েবকে বিসয়টা দেখতে বলছি। ঘটনার সত্যতা পেলে পুকুরের মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাই নড়াইল জেলা প্রশাসনের কাছে স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি অভিযুক্ত জমির মালিক জিয়া মোল্লার বিরুদ্ধে তদন্ত্র সাপেক্ষে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে গ্রামের একমাত্র কবরস্থান ও চলাচলের পাকা রাস্তা সহ গরিব অসহায়দের একমাত্র মাথা গোঁজার বসত বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি থেকে অব্যাহতি দিবেন।

error: Content is protected !!