নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর আমেনা বেগম হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটন শেষে মুল হোতাকে গ্রেফতার করেছে নড়াইল জেলা পুলিশ।
জানা যায়, গত ৪ আগষ্ট নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের বিছালী গ্রামের মোহাম্মদ মনির হোসেনের স্ত্রী আমেনা বেগম (৫৭) কে তার নিজ বাড়িতে হত্যা কান্ডের শিকার হন। এই ঘটনায় ১২ আগষ্ট নড়াইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। যার মামলা নাম্বার-০২।
এরই ধারাবাহিকতায় আমেনা বেগমের হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে একাধিক গোয়েন্দা পুলিশ। এবং ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ সাজেদুল ইসলাম এবং এসআই (নিঃ) মোহাম্মাদ সেলিম মহালদার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামী
মোঃ আসিফ মোল্যা (১৯), পিতা-মোঃ বাবর আলী মোল্যা, বিছালী তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। এসময় আসামীর কাছ থেকে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোহাম্মাদ আসিফ মোল্লা থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে মৃত আমেনা বেগম সম্পর্কে আমার গ্রাম্য দাদী হয়। আমেনার পরিবারের সাথে আমার পরিবারের জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে। এনিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তারপরেও মৃত আমেনা বেগম আসামীদের বাড়িতে যাওয়া আসা করতো। গত ২৮ জুলাই ভিকটিম আমেনা বেগম আসামীদের বাড়িতে যায় এবং আসামীর মায়ের নামে তিনি আজেবাজে কথা বলেন এবং গালিগালাজ করেন। এ ঘটনায় আসামী আসিফ ও তার পরিবার আমেনার উপর ক্ষুব্ধ হয়।
এসব কারণে আসামী মোঃ আসিফ মোল্লা (১৯) গত ০৪ এপ্রিল রাত সাড়ে দশটার দিকে আসিফ আমেনা বেগমের বাড়িতে যায়, তখন গেটে তালা দেওয়া ছিল। আসামী আসিফ ভিকটিম আমেনা বেগমকে দাদী বলে ডাক দিলে তিনি গেইটের তালা খুলে দেয়। তারপর আসামী ঘরের ভিতরে যায়। তখন ভিকটিম বলে যে, তুই বস আমি ভাত খেয়ে নেই। তখন আসামী আসিফ পিছন থেকে তার সাথে থাকা গামছা দিয়ে ভিকটিমের গলায় পেঁচিয়ে ধরে।
কিছুক্ষণ পরে তিনি আস্তে আস্তে নিশ্বাস নিচ্ছিল। তারপর আসামী ভিকটিমকে তার পরনের শাড়ি দিয়ে গলায় আবার পেঁচিয়ে ধরে এবং শ্বাস রোধ করে মেরে ফেলে। আসামী ভিকটিমের ব্যবহৃত আইটেল কোম্পানির মোবাইল ফোনটি নিয়ে চলে যায়। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।