সাজ্জাদ তুহিন নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলের পতিত জমি কে চাষাবাদের আওতায় আনার জন্য কৃষক কৃষাণী দের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সদর উপজেলার ১১ নং বাঁশগ্রাম ইউনিয়নে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে কৃষক কৃষাণীদের নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে
সেই বিষয়ে অনুশাসনের বাস্তবায়নের জন্য অনাবাদি পতিত জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ-সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল হক চৌধুরী। প্রধান বক্তা হিসেবে বিশাদভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায়। স্বাগত বক্তব্যে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মাদ রোকনুজ্জামান বলেন, নড়াইল সদর উপজেলার বিভিন্ন পতিত জায়গা যেমন পরিত্যক্ত ইটভাটার অব্যাহ্নত জমি, রাস্তার পাশের খাদ, নালা, ঘেরের পাড়, বসতবাড়ির আশেপাশের অব্যাহ্নত জায়গা, আশ্রয়ন প্রকল্পের স্বল্প পরিসর জমি সহ অনাবাদি জায়গাকে কিভাবে লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চাষের আওতায় আনা যায় তা ব্যক্ত করেন।
জমির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা, অনলাইন সার সুপারিশ, রিলে চাষ পদ্ধতিসহ মাঠ ফসল সম্পর্কিত আলোচনা করেন উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জানান কৃষি বিভাগের এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। নড়াইলের আভূতপূর্ব যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকে পুঁজি করে, নড়াইল জেলার পতিতা জমি কে কাজে লাগিয়ে জেলার খরপোশ কৃষিকে স্মার্ট কৃষিতে রূপান্তরে জেলা প্রশাসক সর্বদা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয় করে কৃষকের পাশে থাকবে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি শারমিন আক্তার উন্নত কৃষি প্রযুক্তি গ্রহণে কৃষকদের সাশ্রয়ী হওয়ার তাগিদ দেন। কৃষি প্রসারণ অফিসার সৌরভ দেবনাথ তার সঞ্চালনায় অনাবাদি জায়গায় সরিষা চাষ এবং কালিকা পুরে মডেল অনুসরণ করে সবজি চাষের সাফল্য তুলে ধরেন।