নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন

লেখক: Rakib hossain
প্রকাশ: 3 months ago

ইকরামুল হোসাইন,নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :

শিক্ষক হেনস্থার জবাব এবং নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ভ্রান্ত, বিব্রতকর, মানহানিমূলক ও কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ উঠেছে এ সংগঠনের বিরুদ্ধে।

আজ ২৯ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) এর প্রতিবাদে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যা ৭ টা ১০ মিনিটে সাংবাদিক সমিতি তাদের অফিসিয়াল পেইজ থেকে মো: তারিফুল ইসলামের নামে বঙ্গবন্ধু হলের হাউজ টিউটর পদ থেকে পদত্যাগ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে পোস্ট করে, যা ছিল সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ও বিভ্রান্তিমূলক। এবং পরবর্তীতে গতকাল ২৮ আগস্ট পুনরায় তাদের পেইজ থেকে নিজেদের ছড়ানো গুজবকে ‘গুঞ্জন’ বলে প্রকাশ করে এ সংগঠন।

তাদের পোস্টে লেখা ছিলো, “সম্প্রতি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলের হাউজ টিউটর পদ থেকে দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: তারিফুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন বলে গুঞ্জন ছড়ায় অন্য দুই হাউজ টিউটর এবং একজন কর্মকর্তা। তবে হল দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তিনি এখনো পদত্যাগ করেন নি।”

এমন ভুয়া তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করায় এবং উক্ত শিক্ষককে নানাভাবে “আলোচিত সমালোচিত হাউজ টিউটর” অ্যাখ্যা দিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করায় এর প্রতিবাদে আজ দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলে, “সাংবাদিক সমিতির পেইজ থেকে এমন ভ্রান্ত তথ্য প্রকাশের পর আমরা নানাভাবে তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি এবং উদ্দেশ্যপ্রণীতভাবে করা এ নিউজের কারণ জানতে চেয়েছি। কিন্তু তারা বিভিন্ন সময় দেখা করার এবং প্রতিনিধি পাঠানোর আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত কোনো রকম সাক্ষাৎ তারা করে নি এবং আজ সকাল ১০টায় তাদের অফিসে শিক্ষার্থীদের আহ্বান করেও সেখানে অনুপস্থিত ছিল তারা।”

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা আরও বলে, বারবার সাংবাদিক সমিতি তাদের পেইজ থেকে আমাদের শিক্ষককে নানাভাবে নানা সময়ে আলোচিত সমালোচিত অ্যাখ্যা দিলেও এর ব্যাখ্যা তারা দিতে পারিনি কখনই। আমরা এর জবাব চাই। এছাড়া শোনা গুঞ্জনের ভিত্তিতে তথ্যের সত্যতা যাচাই না করে কিভাবে একটি সাংবাদিক সংগঠন কুরুচিপূর্ণ সংবাদ প্রচার করে, তাদের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু এ ব্যাপারেও প্রশ্নবিদ্ধ করতে থাকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও, সংবাদ প্রকাশের পর একটি সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে থেকেও সভাপতি জনাব ফাহাদ বিন সাঈদ কিভাবে এমন ভ্রান্ত ও ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর নিজ প্রোফাইল থেকে উক্ত পোস্টে একজন সম্মানিত শিক্ষককে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে পারে এ ব্যাপারেও জবাবদিহিতা চায় শিক্ষার্থীরা।

পাশাপাশি, বঙ্গবন্ধু হলে আরো অনেক হাউজ টিউটর স্যার থাকলেও নির্দিষ্ট একজন শিক্ষকের পদত্যাগ করা বা না করা নিয়ে কেন এত মাথাব্যাথা, শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের কোনো অভিযোগ বা তথ্য প্রমাণ তাদের কাছে আছে কিনা এ ব্যাপারেও জবাব চাওয়া হয় তাদের কাছে।

error: Content is protected !!