প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২২, ২০২৪, ৪:৩৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ১২, ২০২৩, ১২:৪৪ অপরাহ্ণ
দ্বিতীয় বিবাহ করে স্ত্রী কে স্বীকৃতি না দিয়ে বিদেশ পাড়ি দিলেন মণিরামপুরের কাজী নাইম
দ্বিতীয় বিবাহ করে স্ত্রী কে স্বীকৃতি না দিয়ে বিদেশ পাড়ি দিলেন মণিরামপুরের কাজী নাইম
তহিদুল ইসলাম মণিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধি
যশোর মণিরামপুর উপজেলা তাহের পুর গ্রামের কাজি মনিরুল হক বাবুর ছোট ছেলে কাজি নাঈম (২৬) ঘরে প্রথম স্ত্রী ও সন্তান রেখে চাঁদপুরের মেয়ে কে মোছাঃ বিলকিস (১৮) কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে চাঁদ পুর থেকে ঢাকায় নিয়ে যায়। ঢাকায় ৫ দিন রাত যাপন করে, পুনরায় চাঁদপুর ফিরে নোটারী ক্লাবে তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার কাবিন বেঁধে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন বিলকিস খাতুনের সাথে কাজী নাঈম।মেয়ের পরিবার মেয়ের বিবাহ কে প্রথমে মেনে না নিলেও জামাই হুজুর দেখে মেনে নিয়ে শশুর জামাই কে তার পরিবার কে জানিয়ে ঘরে তুলতে বলেন।নাঈম তার শশুরের পরিবার কে জানায়,আমি এখন আলেম পড়তেছি আলেম শেষ হলেই আমি আমার পরিবার কে বুঝিয়ে বিলকিস খাতুন কে ঘরে তুলবো ইনশাআল্লাহ। আপনারা টেনশন করবেন না।নাঈম হুজুর হওয়ার কারনে সরলতা দেখায় শশুর।দীর্ঘ দিন যাবত শশুর বাড়িতে কাজী নাঈম ঘর জামায়ের মতো বসবাস করেন এবং মাঝে মাঝে যশোর মণিরামপুর গ্রামের বাড়িতে আসতেন।অতঃপর একাধিক বার স্বামী কাজী নাঈম কে স্ত্রী বিলকিস খাতুন স্বামীর পরিবার কে বিবাহের বিষয়ে জানাতে বললে, হটাৎ নাঈম তার বাবা মা ভাই সবাই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে বলে জানায় এবং তাদের অবস্থা আশংকা জনক বলে জানিয়ে, নাঈম তার দ্বিতীয় শশুর বাড়ি থেকে ১ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে চাঁদ পুর ত্যাগ করে।চাঁদ পুর থেকে যশোরে আসার সময় দ্বিতীয় স্ত্রী বিলকিস খাতুন তার স্বামী কে বলেন আমাকে সাথে করে নিয়ে চলো এক পর্যায়ে স্ত্রী কে বুঝায় এখন আমার পিতা মাতা ভাই সবাই হসপিটালে এখন গেলে সমস্যা হবে ।পরবর্তীতে সবাই সুস্থ হলে পিতা মাতা কে বুঝিয়ে ঘরে তুলার কথা জানায়।এর মাঝে নাঈম তার শশুর বাড়ি থেকে ধার নেওয়া ১ লক্ষ টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে।কিন্তু নাঈম তার হুজুরের লেবাস দেখিয়ে পুনরায় নাঈম তার দ্বিতীয় শশুর বাড়িতে যেয়ে রাত্রি যাপন করে। স্ত্রী বিলকিস খাতুন কে জানায়, আলেম পড়তে বেশ কিছু বই কিনতে হবে ও পরিক্ষা দিতে মোট মিলে আনুমানিক ২৬ হাজার টাকা লাগবে যে কেনো জায়গা থেকে স্ত্রী কে ধার নিয়ে দিতে বলে।স্ত্রী তার স্বামী কে বিশ্বাস করে ২৬ হাজার টাকা ধার নিয়ে দেই প্রতিবেশীদের কাছ থেকে। নাঈম কাজী টাকা নিয়ে আবার ও দেশের বাড়ি যশোর মণিরামপুর আসেন। এখানে থাকা স্ত্রী সন্তান নিয়ে বেশ কিছু দিন থাকার পর আবার ও চাঁদ পুর যায় এভাবে দুই স্ত্রী কে সময় দেই নাঈম কাজী। এক পর্যায়ে নাঈম কাজীর বড়ো ভাইয়ের মোবাইল নাম্বার নেই নাঈম কাজীর ফোন থেকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী ।নাঈম দীর্ঘ দিন যাবত দ্বিতীয় স্ত্রী খোঁজখবর না নেওয়ায়, নাঈমের বড়ো ভাই দারুল উলুম ইলাহি বকশ নুরানি ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক কাজী দেলোয়ার হোসাইন কে ফোন দিয়ে নাঈমের স্ত্রী পরিচয় দিলে মাদ্রাসা শিক্ষক দেলোয়ার হোসাইন বলেন আমার ছোটো ভাইয়ের স্ত্রী ও ০২) সন্তান তো বাড়িতেই আছে আপনি কে।
তখন দ্বিতীয় স্ত্রী বুঝতে পারে সে একজন লেবাস ধারী বাটপার হুজুর কে বিবাহ করেছেন এবং তিনি প্রতারিত হয়েছেন। অতঃপর নাঈমের বড়ো ভাইয়ের কাছ থেকে জানতে পারে নাঈম মালয়েশিয়া পাড়ি দিয়েছে।
তখন নাঈমের দ্বিতীয় স্ত্রীর মাথায় বাঁচ পড়ার মতো বিশাল এক পাহাড় ধারণ করে।এভাবে বেশ কয়েক দিন পার হয়ে গেলে নাঈমের বড়ো ভাই বিষয়টি সমাধান করিয়ে ডিভোর্স নেওয়ার কথা জানায়।নাঈমের বড়ো ভাই দারুল উলুম ইলাহি বকশ নুরানি ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক কাজী দেলোয়ার হোসাইন বলেন আমি তুমাকে আমার ভাই যে ৫৬ হাজার টাকা ধার নিয়েছে সেই টাকা টা ফেরত দিয়ে দিবো।বিনিময়ে আমার ছোটো ভাই কে ডিভোর্স দিতে হবে।তখন নাঈমের দ্বিতীয় স্ত্রী ইসলামী শরিয়ত মুতাবেক ডিভোর্স দিতে হবে বলে জানালে নাঈমের বড়ো ভাই ধারের টাকা দিতে অস্বীকার করে এবং তার ভাই বিদেশে থেকে ফিরবে ১০ বছর পর সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলে।১০ বছর পর নাঈম দেশে ফেরার পর সমাধান করার কথা জানায়।এক পর্যায়ে নাঈমের দ্বিতীয় স্ত্রীর অসহায়ের সুযোগ নিয়ে কাবিন বাঁধা তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা না দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে। এ বিষয়ে নাঈমের বড় ভাই এবং পিতা জানায়, নাঈমের বড়ো ভাই ও মণিরামপুর বাজারের হামিদা কমপ্লেক্সে থাকা এক গার্মেন্টস ব্যাবসায়ী বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন।হামিদা কমপ্লেক্সে থাকা আরো এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর সাথে নাঈমের দ্বিতীয় স্ত্রী যোগাযোগ করেছিলো তার কাছে সহযোগীতা চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি নাঈম ও তার পরিবার কে নাঈমের দ্বিতীয় স্ত্রী কে নিজ ইচ্ছায় ডিভোর্স দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যায় এবং তিনি জানায় মণিরামপুর থানা ওসির সাথে কথা বলেছে এবং একজন আইনজীবীর সাথে কথা বলেছে।নাঈম কে কিছু করতে পারবে না এবং নাঈম কাবিনের টাকা দিতে পারবে না বলে গণমাধ্যম কে জানায়।নাঈম কে জোর পূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে বিবাহ করতে বাধ্য করেছে বলে চালিয়ে দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এক পাতি নেতা সহ নাঈমের পরিবার।নাঈমের দ্বিতীয় স্ত্রী কে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন এই পাতি নেতা গণমাধ্যম কে হুমকি স্বরূপ বলেন, "মেয়েকে হাজির করেন এবং তাকে মণিরামপুর নিয়ে আসেন তার পর দেখছি"। নাঈমের বাবাকে ঐ পাতি নেতা বলেন, আপনি থানায় মেয়েকে হাজির করতে বলেন আমি ভাইকে বলে ফোন দিয়া দিচ্ছি।ঐ মেয়েকে কাবিনের একটা টাকাও দিবে না ও এখান থেকে ডিভোর্স নিয়ে নিবো।
এভাবে পেশার প্রয়োগ করে হ্যারেজ করার চেষ্টা করছে ঐ পাতি নেতা গার্মেন্টস ব্যবসায়ী।এছাড়া বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন।
এদিকে খোজ খবর নিয়ে জানাযায়, নাঈম মালয়েশিয়া কলাতলী নামক স্থানে টুরিস্ট ভিসায় তিন মাসের জন্য অবস্থান করছেন।দীর্ঘ দুই মাস গত হয়ে গেছে সামনে এক মাস সময় আছে ফিরে আসবে দেশে।মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং মালয়েশিয়া থেকে নাঈম কে ফেরত আনতে সরকারের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন নাঈমের দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার পরিবার ।
কপিরাইট © নিউজ বিডি জার্নালিষ্ট ২৪- ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। সম্পাদক : মোঃ রাকিব হোসেন, বার্তা সম্পাদক: চম্পা বিশ্বাস, প্রকাশক: মুহাঃ মোশাররফ হোসেন,প্রধান উপদেষ্টা: মো: বেল্লাল হাওলাদার, সহযোগী সম্পাদক: মোঃ আল ইমরান, , 01550040372 E-mail: newsbdjournalist24@gmail.com