আরিফুল ইসলাম আরিফ,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার মানুষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইতিহাস সৃষ্টি করে সারাদেশে আলোড়নের অংশীদার হয়েছেন। ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাঃ মোঃ হামিদুল হক খন্দকার তাদের পছন্দের মানুষ। তিনি এ উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেষা গোড়ক মোন্ডল গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেও শুধু ফুলবাড়ী নয় সমগ্রহ কুড়িগ্রাম জেলার সর্বস্তরের মানুষের নিকট সুপরিচিত ও মানবিক।তিনি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালের সাবেক পরিচালক (পঙ্গু হাসপাতাল) ও রংপুর লাইফ লাইন কমিউনিটি হাসপাতাল (প্রা.) লি:- এর প্রধান। এছাড়াও তিনি জাতীয় চার নেতা স্মৃতি সংসদ রংপুর ও ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি সংসদের প্রধান উপদেষ্টা। রয়েছেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা পরিষদের রংপুর বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। বিএমএ’র আজীবন সদস্যও তিনি বটে ।কুড়িগ্রাম-০২ আসন থেকে আওয়ামীলীগের হয়ে তিনিও মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ কুড়িগ্রাম -০২ থেকে সাবেক সাংসদ জাফর আলীকে মনোনিত করেন। কিন্তু পরবর্তীতে জাপা চৌদ্দ দলে অংশ গ্রহণ করায় মহাজোট রুপ ধারণ করায় আওয়ামীলীগ এ আসনটি জাপাকে ছেড়ে দেয়। কপাল খুলে যায় কুড়িগ্রাম-০২ আসনের জাপা’র চাপা খোলোসে আটকা পড়া সাধারণ মানুষের। সুযোগ পেয়ে তাঁরা ডাঃ হামিদুল হক খন্দকারকে সিংহাসনে বসানোর পথ খু্ঁজে পায়। ফুলবাড়ী তথা কুড়িগ্রাম-০২ ( কুড়িগ্রাম সদর ও রাজারহাট সহ) সর্ব স্তরের মানুষ ডা: হামিদুল হক খন্দকারকে তাদের সাংসদ ও প্রতিনিধি হিসেবে ভোট যুদ্ধে নেমে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। তিনি ট্রাক মার্কা প্রতীক নিয়ে সর্বমোট ১ লক্ষ ১ হাজার ৯২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জাতীয় সাংসদ নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাপা থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ৪৭ হাজার ১ শত ভোট পেয়েছেন।এ আসনের মানুষ এখন বিশ্বাসী ও দীর্ঘ আশাবাদী পিছিয়ে পড়া কুড়িগ্রাম এখন আর পিছিয়ে থাকবে না চলবে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস হয়ে।