মো. বেল্লাল হাওলাদার: দিনব্যাপী বহুবিধ বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। শনিবার (২১ ডিসেম্বর ২০২৪) রাজধানী ঢাকার মতিঝিল রাজউক ভিআইপি অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন পর্বে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাঁকজমকপূর্ণ এ অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ধীন ফিজিক্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডিভিশন প্লানিং কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান (মাননীয় সচিব), সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সমাচার-এর সম্পাদক ও প্রকাশক, বহুমুখী শিল্প প্রতিভার অধিকারী ড. খান আসাদুজ্জামান পিভিএমএস, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস অ্যান্ড কনফ্লিট বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম অর্গানাইজেশন ফর পোর কমিউনিটি এডভান্সমেন্টের (অপকা) নির্বাহী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা, কবি কথাশিল্পী ও সমাজকর্মী মো. মজিবুর রহমান মজনু, জাহাঙ্গীর সানলাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বিশিষ্ট ব্যাংকার ও সমাজকর্মী এ কে মোহাম্মদ জাওয়াদুল হক, গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী শেখ নজরুল ইসলাম, সরকার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী উজ্জ্বল সরকার, হাসান ফকির মুন্না ও বিশিষ্ট সমাজসেবিকা রেহানা পারভীন রূপাসহ আরো অনেকে।
প্রধান অতিথি মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বাংলাদেশ সমাচার-এর ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, গত ৮বছর ধরে বাংলাদেশ সমাচার সফলভাবে সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে, যেটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মানুষের সংবাদের যে চাহিদা, তার সিংহভাগ পূরণ করে যাচ্ছে এ পত্রিকাটি। তথ্য-প্রযুক্তির এ সময়ে বাংলাদেশ সমাচার যে এখনো জনপ্রিয়তা ও পাঠকপ্রিয়তা ধরে রেখে প্রকাশনা অব্যাহত রেখেছে এটিও বড় একটি সাফল্য। সূচনা পর্বের শেষ অধ্যায় বাংলাদেশ সমাচার-এর থিম সং প্রদর্শন ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়। যা আমন্ত্রিত অতিথিসহ সকল দর্শকদের মুগ্ধতা এনে দেয়।
স্বর্ণালী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের মাননীয় সচিব, ড. মো. আনোয়ার উল্ল্যাহ। দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার-এর প্রধান সম্পাদক এবং নতুনধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. সাদী-উজ জামান-এর এই পর্বের সভাপতিত্ব করার কথা থাকলেও হঠাৎ উনি অসুস্থ থাকায়, সভাপতিত্বে করেন বাংলাদেশ সমাচার-এর সম্পাদক ও প্রকাশক ড. খান আসাদুজ্জামান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, জিয়াউল হক (মুন্না),ইউসিসি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান
ড. এম এ হালিম পাটওয়ারী, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক, খন্দকার গ্রুপের চেয়ারম্যান, খন্দকার রুহুল আমিন, বিশিষ্ট সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রোটারিয়ান মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন, মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ মাসুদ অরুন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসন ও বিচারের ডেপুটি রেজিস্টার, ড. মো. আতিকুস সামাদ, এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের কো-ফাউন্ডার অঞ্জন মল্লিক এফ, সি, এ, আইএফআইসি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলামসহ আরও অনেকে। এছাড়াও অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিসহ দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার কয়েকশতো সাংবাদিক উক্ত অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন। প্রকাশনার ৯ম বছর শেষে 'দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার' দেশ, সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও গণমানুষের খবর তুলে ধরে বর্তমানে জনপ্রিয়তার মঞ্চে আসীন হয়েছে। আজ থেকে ৯ বছর আগে ২০১৬ সালে 'সারাবিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মুখপত্র' এই স্লোগানকে সামনে রেখে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার যাত্রা শুরু হয়। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ সমাচার আজ একটি জনপ্রিয় পত্রিকা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এপিয়ে চলেছে সাফল্যের সাথে। অনিয়ম, দুর্নীতি, মাদক ব্যবসা, নারী নির্যাতন, বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম, জঙ্গিবাদ ইত্যাদি অপরাধ দমনে এবং অপরাধীদের মুখোশ উন্মোচনে সাহসী ভূমিকা রাখছে 'দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার'। শুধু নগর- মহানগর নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষের খবরও প্রকাশ করছে গুরুত্বসহকারে। পত্রিকাটি ইতোমধ্যে জাতীয় মিডিয়া লিস্টের ২১তম স্থান দখল করার পাশাপাশি ৮ম ওয়েজবোর্ডভুক্ত পত্রিকার মর্যাদা পেয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের মাননীয় সচিব, ড. মো. আনোয়ার উল্ল্যাহ বলেন, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপস্থিত হতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাকে দাওয়াত করার জন্য। পাশাপাশি এ পত্রিকার উত্তরোত্তর সাফল্য ও মঙ্গল কামনা করছি। সংবাদপত্র একটি দেশের চতুর্থস্তদ্ধ, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। বাংলাদেশ সমাচার সব সময় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে থাকে। এ পত্রিকা একদিন দেশের সকল মানুষের জনপ্রিয় পত্রিকায় পরিনত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি আরো বলেন সমাজের অবহেলিত প্রতিবন্ধীদের নিয়ে সংবাদ পরিবেশন গুরুত্ব দিতে।
আমন্ত্রিত অতিথিরা বক্তৃতায় বলেন, পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক বহুমুখী শিল্পস্রষ্টা ড. খান আসাদুজ্জামান পিভিএমএস-এর প্রগাঢ় মেধা, সুচিন্তা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের পথপরিক্রমায় গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার যে খবরাখবর ও বাস্তবচিত্র তুলে ধরেছে, সেটি বাংলাদেশের সংবাদপত্রের জগতে এক ব্যতিক্রমী সংযোজন । প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশ ও জনগণের পক্ষে যে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছে।
তা প্রশংসনীয়। অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করে দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় 'দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার সৎ ও নির্ভীক সাংবাদিকতার যে ঐতিহ্য গড়ে তুলেছে, আগামী দিনগুলোতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে বলে আমরা আশাবাদী ।
সভাপতির বক্তব্যে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশক বহুমুখী শিল্পস্রষ্টা ড. আসাদুজ্জামান বলেন, আজ বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সকলকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সকল সাংবাদিক আমার সন্তানের মতো। আমি সর্বদা চেষ্টা করি সকল সাংবাদিকের ন্যায্য ন্যায্য পাওনাটুকু পরিশোধ করতে। প্রতি বছর বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পুরুষ্কৃত করে থাকি।
অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্বে বাংলাদেশ সমাচার-এর সম্পাদক ও প্রকাশক, বহু গানের স্রষ্টা, গীতিকার ও সুরকার ড. খান আসাদুজ্জামান-এর মনোমুগ্ধকর একক সংগীত পরিবেশনা করা। তাঁর গান পরিবেশনায় দর্শকদের মুগ্ধতা এনে দেয়। অনেকে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। বিশিষ্ট গুণিজন, বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি ছিলো অত্যন্ত আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য।
অনুষ্ঠান শেষে সকল সাংবাদিকদের মধ্য থেকে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে কৃতী সাংবাদিক সম্মাননা ও কয়েকজন গুণি মানুষকে পেশাগত দক্ষতা, নিষ্ঠা ও মানবকল্যাণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা প্রদান করা হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন, বাংলাদেশ সমাচার-এর জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সম্পাদক খালেদ এম এইচ চৌধুরী রানা, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মহিবুর রহমান খান বকুল ও কবি ও আবৃত্তিশিল্পী জাহানারা রেখা।