মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে তাবিজ দেয়ার কথা বলে ননদ-ভাবীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে ওই নির্যাতিত কিশোরীর (১৫) বাবা অভিযুক্ত তরুন তালুকদার (৩৮) এর বিরুদ্ধে লৌহজং থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়নের কালুরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।লৌহজং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। কিশোরীর বাবা মো. সেলিম মিয়া, তিনি গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন স্বপরিবারে কালুগাও গ্রামে সালমার বাসায় ভাড়া থাকেন সে পেশায় দিনমজুর।কৃষি কাজ শেষে বাড়িতে এসে যানতে পারে একই গ্রামের ঐ বাসার পাশের দোকানদার আলাউদ্দিন তালুকদারের ছেলে তরুন তালুকদার আমার কিশোরী মেয়ে (১৫) ও আমার ভাইয়ের ছেলের বৌ (১৮) সাথে এসব অপকর্ম করেছে।ভুক্তভোগী কিশোরী (১৫) বলেন, অভিযুক্ত তরুন তালুকদার মামা আমাকে তাবিজ ও চিরোনী পড়া দেয়ার কথা বলে দোকানের সামনে ডেকে আনে তখন আমার মুখ চেপেধরে দোকানের ভেতরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। আমাকে কাপুড় খুলে বসতে বলে৷ তখন আমি অসম্মতি করলে আমাকে জোরকরে ধরে কাপুড় সরিয়ে খারাপ কিছু করতে চায়।আমার সাথে এমন অনেকক্ষণ জোড়াজুড়ি করার পর আমাকে বেঁধে ভাবীকে ডেকে নিয়ে আসে তার সাথেও খারাপ কিছু করতে শরীরে টাচ করে। ভুক্তভোগ কিশোরীর ভাবী (১৮) বলেন, আমাকে তরুণ মামা দোকানের সামনে ডেকে নিয়ে আসে তখন তরুণ জোড়করে দোকানের ভেতর নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়৷ সেখানে গিয়ে আমার ননদকে মুখ বাধা অবস্তায় দেখতে পাই তার শরীরে কাপর নেই, তরুন তালুকদার আমার সাথেও খারাপ উদ্দেশ্যে জরিয়ে ধরে। ভুক্তভোগী কিশোরীর ভাবী আরও বলেন, ননদ আমাকে জানায় আমি এক ছেলেকে পছন্দ করি কিন্তু ঐ ছেলে আমাকে পছন্দ করে না।তরুন তাকে বলে ওই ছেলে তাকে পছন্দ করার জন্য তার কাছে তাবিজ আছে তুই গোছল করে ওযু করে আমার দোকানের ভিতর আছিস তরে ওই ছেলেকে পাইয়ে দেয়ার ব্যবস্তা করে দিবো। তখন আমি দোকানে গেলে সে দোকানের দরজাটা লাগিয়ে দেয় এবং আমারে বলে তর সব কিছু খুলে বসতে বলে।তখন আমি বলি ফকিরের সামনে এমন খুলতে হয় আমি কখনো শুনিনি।আমি পারবো না, তখন আমি চলে যেতে চাইলে আমাকে জোড়করে ধরে সব খুলে ফেলে তখন আমি তরুণ মামাকে বলি আমি এসব কিছু ভাবীর কাছে বলে দিবো, তখন তার মুখ বেঁধে ফেলে এবং কাপড় লুকিয়ে রাখে। অনেকক্ষণ পর তরুণ মামা বলে তোর ভাবীর কাছে বিচার দিবি বলছো দেখ তোর ভাবিকে নিয়ে আসতেছি তখন তাকে বাঁধা অবস্থায় রেখে দোকানে আটকিয়ে রেখে আমাকে ডেকে নিয়ে আসে। দোকানের দরজা লাগিয়ে দিয়ে বলে তুই এখানে চুপচাপ বসে থাক তর সামনে অরে কি করি তুই চেয়ে চেয়ে দেখ।চেচামেচি করলে তর সংসার ভাঙ্গমু তখন আমি বাঁধা দিলে আমার সাথেও খারপ আচরন করে।তখন আমি তরুনের হাতে কামর দেই ও চিতকার করলে তরুণ পালিয়ে যায়৷ আমি তখন তাকে আমার চাদর জড়িয়ে দেই।এলাকাবাসীরা জানান, তরুণ তালুকদার এর আগেও এমন অনেক অপকর্মের সাথে জরিত অনেকে লজ্জায় ও ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি। এ বিষয়ে গাঁওদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে সালিশের জন্য এসেছিল আমি তাদের বলে দিয়েছি নারী নির্যাতনের বিচার আমার পরিষদে হয় না, এটি থানা পুলিশের বিষয়।৪নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার মো. মোশারফ হোসেন বেপারী বলেন, ঘটনার একদিন পর জানতে পারছি তরুণ তালুকদার একটা মেয়েকে ধর্ষণ করছে।আমরা চাই এসব জঘন্য কাজের উপযুক্ত বিচারক হউক। তিনি আরও বলেন এই গ্রামে এর আগেও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিলো যা এলাকার বড় এক নেতার শেল্টারে ধামাচাপা দেয়।গত বছর এই গ্রামে ফরহাদের মেয়ে গণধর্ষণে শিকার হয়।