নিজস্ব প্রতিবেদক:
এদেশকে নতুন করে সাজাতে তরুনদের ভূমিকা অপরিসীম। তরুণরাই পারবে আগামীর বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী করতে। তরুণ সমাজের হাতেই এদেশ নিরাপদ এমনটাই দাবী করেন গনঅধিকার পরিষদ’র উচ্চতর সদস্য ফাতিমা তাসনিম। তার মতে, বর্তমানে চারদিকে যেভাবে লুট, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী এবং অগ্নিসংযোগ হচ্ছে তাতে এদেশ ভালো নেই। দেশকে ঝঞ্জালমুক্ত করতে, দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে তরুণ সমাজের বিকল্প নেই। বুধবার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।
ফাতিমা তাসনিম পটুয়াখালী জেলাধীন কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের লেমুপাড়া গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা শাহাবুদ্দিন তালুকদার ও মাতা আকলিমা বেগম। দাদা হাসেম তালুকদার তৎকালীন জমিদার পরিবারের একজন সদস্য ছিলেন। ফাতিমা তাসনিম স্থানীয় বড় বালিয়াতলী দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাশ করেন। পরে ঢাকার সিদ্ধেশরী কলেজ থেকে এইস.এস.সি ও এশিয়ান ইউনিয়ভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে ডিগ্রী অর্জন করেন। সর্বশেষ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইন্সিটিটিউটে এ মাষ্টার্স পাশ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাবস্থায় তিনি বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রী ছিলেন। মাষ্টার্সে পড়ালেখা অবস্থায় ফাতিমা তাসনিম ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনে যোগ দেন। ওইসময়ে গনঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ভিপি নূরের সাথে তার পরিচয়। তখন থেকেই তিনি গনঅধিকার পরিষদে যোগ দেন এবং স্থায়ী কমিটির উচ্চতর পরিষদের সদস্যপদ লাভ করেন। ৪ বোন ও ১ ভাইয়ের মধ্যে ফাতিমা তাসনিম তার বাবা মায়ের দ্বিতীয় সন্তান। তার বাবা ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী। কর্মজীবনে তিনিও একটি ব্যবসায়ের সাথে জড়িত রয়েছেন।
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গনঅধিকারের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরের গঠিত গনঅধিকার পরিষদের হাত ধরেই সর্বপ্রথম ২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। যার পরিসমাপ্তি হয় ২০২৪ সালে ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের মাধ্যমে। গনঅধিকার পরিষদ সবসময় গনমানুষের কথা বলে আসছে। দেশের সর্বত্র ভারসাম্য বজায় থাকুক এবং সকল মানুষ তাদের ভোটাধিকারসহ গনতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবে এটাই গনঅধিকার পরিষদের মূল ভিত্তি।
ফাতিমা তাসনিম পটুয়াখালী-৪ আসনের সাধারন মানুষদের নিয়ে এগিয়ে যেতে যান। নতুন একটি বাংলাদেশের সাথে তালমিলিয়ে এ জনপদকে তিনি নতুন রুপে গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এবিষয়ে তিনি পটুয়াখালী-৪ তথা কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও মহিপুরবাসীর দোয়া, সমর্থন ও ভালোবাসা কামনা করেন।