অমিতাভ মল্লিক,প্রধান ক্রাইম রিপোর্টার:
যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ৫ নম্বর হরিদাসকাটি ইউনিয়নের উত্তর বাহাদুরপুর গ্রামের মিন্টু গাজীর নাবালিকা মেয়ে শান্তা ইয়াসমিন পরী মধুপুর বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী বয়স আনুমানিক(১৫) সাথে, মাছনা গ্রামের ইটালির প্রবাসী এস এম মশিউর রহমানের ছেলে আবু নাঈম বয়স আনুমানিক (১৮) সাথে ডাঙ্গা মহিষদিয়া জামে মসজিদের ইমাম সোরব হোসেন ৫০০০ টাকার বিনিময় বাল্যবিবাহ অতি গোপনে সম্পন্ন করেন। ইমাম সোরব হোসেনের সাথে মুঠোফোন গণমাধ্যম কর্মীরা যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি শুধুমাত্র ৪০০০ টাকা নিয়েছি। শুধুমাত্র টাকার জন্য সেই বাল্যবিবাহ আমি সম্পন্ন করেছি। গণমাধ্যম কর্মীরা যখন তাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, মিষ্টি খাওয়ার জন্য ১০০০ টাকা নিয়েছিলেন তখন তিনি সেটা অস্বীকার করেন। নাবালিকা বধূ শান্তা ইয়াসমিন পরী বলে, কাজী সাহেব সোরব হোসেন আমাদের একটা বিয়ের কাগজও দিয়েছেন।
কাজী সোরাব হোসেন বিভিন্ন স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে বাল্যবিবাহের বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য দৌড়-ঝাপ শুরু করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শিমুল মেম্বার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন মসজিদের ইমাম হয়ে এভাবে বাল্যবিবাহ দিয়ে কোমলমতি একটি মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমরা চাই অতি দ্রুত এই কথিত কাজী ডাঙ্গা মহিষদিয়া জামে মসজিদের ইমাম এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক। আমি সহ আমার গ্রামবাসী আইন প্রয়োগকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।