ঠাকুরগাঁওয়ে অপহরণের ৩৭ দিনেও কলেজছাত্রীর সন্ধান মিলেনি

লেখক: Rakib hossain
প্রকাশ: 1 year ago

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁও জেলায় ১ কলেজছাত্রী (১৬) অপহরনের ৩৬ দিন পেরিয়ে গেলেও সন্ধান পায়নি পরিবার। এ ঘটনায় থানায় মামলা না নেওয়ায় আদালতে মামলা করেছেন ছাত্রীর পিতা। ১৮ জুলাই মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো: গোলাম ফারুক মামলাটি আমলে নিয়ে ঠাকুরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জকে মামলার প্রধান আসামী খন্দকার মুশতাক আহম্মেদ (৬০) সহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গন্যক্রমে (৬০) কার্য দিবসের মধ্যে তদন্তক্রমে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের বিধানমতে নির্দেশ প্রদান করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার উত্তর ঠাকুরগাঁও গ্রামের ঐ ছাত্রী ঢাকার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। কলেজে যাতায়াতকালীন ঐ কলেজের গর্ভনিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহম্মেদ ঐ ছাত্রীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনৈতিক কু-প্রস্তাব প্রদান করে আসছিলেন। প্রস্তাবে ঐ ছাত্রী রাজি না হলে একাকী পাইলে জোর পূর্বক অপহরণ করে বিয়ে সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিলেন তিনি। বিষয়টি ছাত্রীটি তার পিতাকে জানালে তিনি বিষয়টি নিয়ে খন্দকার মুশতাক আহম্মেদকে সাবধান করে কলেজের ম্যানেজিং কমিটিকে বেশ কয়েকবার মৌখিক ভাবে জানান। খন্দকার মুশতাক আহম্মেদের পক্ষ থেকে হুমকি-ধমকি বৃদ্ধি পেলে ছাত্রীটির নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের হাজীপাড়া মহল্লার জনৈক মোছা: খতেজা বেগমের বাড়িতে নিয়ে রাখেন। এ অবস্থায় গত ১২ জুন রাত আনুমানিক ২ টায় ঐ ছাত্রী প্রকৃতির ডাকের সারা দিতে ঘরের বাহিরে বের হলে পূর্ব থেকে মাইক্রোবাস সহ ওৎ পেতে থাকা খন্দকার মোস্তাক আহম্মেদ সহ ৭/৮ জন ঐ ছাত্রীকে অপহরণ করে গাড়িতে উঠিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ঐ ছাত্রীর চিৎকারে তার পিতা ও অন্যান্য লোকজন চেষ্টা করেও তাদের থামাতে পারেনি। ঐ ছাত্রীকে খন্দকার মুশতাক আহম্মেদ ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক বিবাহ করে দেশের বাহিরে পাচার করতে পারে এবং ধর্ষন করে মেরে লাশ গুম করে রাখতে পারে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

error: Content is protected !!