মোঃমাসুদ আলম ,ব্যুরো চীফ রাজশাহী:
ব্যস্ত সময় পার করছেন
ক্ষুদ্র লৌহজাত শিল্পের উপর নির্ভরশীল রাজশাহী জেলার পেশাদার কার্মকারেরা। বছর ঘুরে পবিত্র ঈদুল আযহা এলেই লোহার নানা জিনিস তৈরির টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে ওঠে। আগামী (১৭ জুন) সোমবার মুসলমান সম্প্রদায়ের বড় উৎসব ঈদ-উল-আযহা। ঈদকে সামনে রেখে কুরবানির পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম তৈরিতে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন ।তাদের দোকানে টুং টাং শব্দ করে নিপূন হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে একেকটি ধারালো উপকরণ।
রবিবার(১৬-জুন) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কামারের দোকানগুলোতে কেউ আসছেন পুরোনো ছুরি, চাপ্পড়,হাসুয়া ও বটিতে শান দিতে আবার কেউ আসছেন নতুন কিনতে । ঈদকে সামনে রেখে পশু কোরবানির জন্য বড় ছুরি, ছোট ছুরি, চাপাতি, বটির চাহিদা বেড়ছে দ্বিগুন।
গোদাগাড়ী উপজেলার ১ নং ওয়ার্ড সি এ্যান্ড বি মোড় এলাকার কৃষ্ণ কামারশালর প্রোপ্রইটার কৃষ্ণ কর্মকারের সাথে আলাপ কালে তিনি নিউজ বিডি জার্নালিষ্ট ২৪.কম কে বলেন, খুব ছোট বেলায় একাজে হাতে খড়ি।দীর্ঘদিন ধরে এ পেশার সঙ্গে রয়েছেন তিনি। সারা বছর তেমন কাজের চাপ না থাকলেও বছরে কোরবানি ঈদে কাজের ব্যস্ততা কয়েক গুন বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম বেশি হওয়ায় লাভ কম হচ্ছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন এখন ছুরি,বটি, হাসুয়া চাপ্পর এর চাহিদা বেশি। এবার চাপ্পর ৬০০ টাকা হাসুয়া ৮০০ টাকা বটি ৭৫০ টাকা কেজি টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার মহিশালবাড়ী বাজারে শ্রী তপন কুমার কর্মকার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বছর কাজ তুলনামূলকভাবে কম। তবে ঈদ ঘনিয়ে আসায় ক্রেতার ভীড় বেড়েছে কয়েক গুণ।
অন্য আরেক জন কর্মকারের সাথে ফোনে আলাপ করলে বলেন, বাপ দাদার কাছ থেকে এই পেশায় আসা। শুরু থেকে অদ্যবধি এখন পর্যন্ত দেখে আসছি বছরের অন্য সময় কাজ কম থাকলেও যখন কুরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসে তখন ব্যস্ত হয়ে পড়ি।কাজ করে শেষ করতে পারি না। এবারের ঈদে বেশ ভালো কাজ হয়েছে।
ক্রেতা আবদুল খালেক বলেন, কোরবানির গরুর মাংস কাটার জন্য নতুন চাপাতি কিনতে এসেছি। তৈরি করা তেমন ভালো চাপাতি পাচ্ছি না। তবুও কাজের জন্য একটি চাপাতি নিলাম।
আর এক ক্রেতা বলেন, আমার এলাকায় কামার বসে না তাই মহিশালবাড়ী বাজার এসেছি, এবছর চাপাতির দাম অনেক বেশি মনে হচ্ছে।