ঝিনাইদহে টিসিবির পণ্য ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ক্রেতাদের মাঝে নানা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি প্যাকেজের মধ্যে ২ কেজি ডাল, ২ কেজি ছোলা, ২ লিটার তেল ও ৫ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও বিষয়খালীর ডিলার মেসার্স আব্দুর রশিদ প্রতি প্যাকেট মালে ২০০ থেকে ৪০০ গ্রাম করে কম দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহঃবার দুপুরে সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির পণ্য ক্রয়কালে এ সব অভিযোগ করেন ক্রেতারা। তবে টিসিবি পণ্য বিতরনের বিষয়ে কিছু জানেন না ট্যাগ অফিসার উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তা লালন মিয়া।জানা গেছে, নলডাঙ্গা ইউনিয়নে কার্ডধারী ১৩৮৫ জনের মধ্যে
টিসিবির পণ্য বিক্রি করার সময় ডাল ও ছোলাতে প্রায় ১ শত গ্রাম ও চাউলে ৪ শত গ্রাম পর্যন্ত কম দেওয়া হচ্ছে।
এ সময় কার্ডধারীরা হট্টগোল শুরু করেন এবং ডিলার বাতিলসহ বিচারের দাবি জানান। পরে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, মেম্বর ও পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে এ বিষয়ে টিসিবি’র পণ্য বিতরনকারী ডিলারের ছেলে বিপুল হোসেন বলেন, ‘আমরা ওজনে কম দিইনি। মাল ক্রয় করে গোডাউনে রেখেছি। ছিড়া প্যাকেটে মাল নিয়ে যাচ্ছে। যে কারনে ওজনে কম পড়তে পারে।নলডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খান রিপন বলেন,‘গরিব মানুষের পণ্য ওজনে কম দেওয়া খুবই দুঃখজনক। এধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে ডিলারের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি‘।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরি বলেন ,টিসিবি’র পণ্য বিতরনে অনিয়ম হলে হলে তদন্ত সহকারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।