প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪, ১০:২৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ১১, ২০২৩, ১:৪০ অপরাহ্ণ
ঝিনাইদহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত পরিচালক বরাবর অভিযোগ
হুমায়ুন কবির, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় মাদক না পেয়েও মাদক দিয়ে এক অসুস্থ হোটেল শ্রমিককে ফাঁসানোর কারনে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে অতিরিক্ত পরিচালক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী জুয়েল রানা। গত ১১ জুলাই খুলনা অফিস বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযানের নামে হয়রানি,অর্থ আত্মসাৎ এবং মিথ্যা মামলায় আত্মীয়কে ফাঁসানোর ব্যপারে সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়টি অভিযোগে উল্লেখ করেন।
গত বুধবার (২১ জুন) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন কার্য্যালয়ের একটি দল ঢাকালে পাড়ায় প্রায় ৪ ঘন্টা ব্যাপী অভিযানের নেতৃত্ব দেন ঝিনাইদহ মাদক নিয়ন্ত্রন অফিসের উপ পরিদর্শক আলতাফ হোসেন। এই সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিদর্শক মোহাম্মদ বোরহানুর রহমান মৃধা, সহকারী পরিদর্শক আব্দুর রশিদ, সহকারী পরিদর্শক পাপিয়া সুলতানা,ড্রাইভার ইদ্রিস মোল্যাসহ কয়েকজন।
অভিযানের সময় এক ঘুমন্ত হোটেল শ্রমিককে মাদক মামলায় ফাঁসানো,পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ মোট ৭৪ হাজার টাকা অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ এনেছে ঐ আভিযানিক দলের বিরুদ্ধে।
অভিযানের দিন ঢাকালে পাড়ার বাসিন্দা জুয়েল রানার বাড়িতে উপজেলার সোনালীডাঙ্গা গ্রামের গোলাম নবীর ছেলে আলমগীর হোসেন নামে এক আত্মীয় অবস্থান করছিল। সে থ্রি স্টার হোটেলে মিষ্টি তৈরির কাজ করে। অভিযানের দিন মাদ্রকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অফিসের কয়েকজন ব্যক্তি শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে তল্লাশি করতে থাকে।
এক পর্যায়ে কোন মাদক না পেয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় আলমগীরকে ডেকে ১৭ পিস ইয়াবার কৌটা হাতে ধরিয়ে দেন উপপরিদর্শক আলতাফ হোসেন। এ সময় জুয়েল ও তার সহধর্মিনীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয়ভীতি দেখিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে সেখানে উপস্থিত থাকা এই মামলার এক নম্বর সাক্ষী আসাদুল জামান বাবুর মাধ্যমে দেনদরবার করে জুয়েলের সহধর্মিনী। পরবর্তীতে বাবুর হাত থেকে সহকারী পরিদর্শক আব্দুর রশিদ ৬৮ হাজার টাকা নগদ গ্রহন করেন এবং তল্লাশি সময়ে জুয়েলের মানিব্যাগ থেকে ৬ হাজার টাকাও তারা নিয়ে নেন। একই সাথে আলাদা ঘরে জুয়েল ও তার স্ত্রীর নিকট থেকে জোরপূর্বক কোথাও কিছু খুয়া যায়নি বা অর্থ লেনদেন করিনি এই মর্মে ভিডিও বক্তব্য ধারণ করেন। এ সময়ে বেড রুমে থাকা সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করেন।এ ব্যপারে সংবাদ সংগ্রহ করতে উপ পরিদর্শন আলতাফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিককেও রুপসা গাড়ির ভিতর থেকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
কালীঞ্জ থানার ১৩/২৩ মামলার ১নং স্বাক্ষী আসাদুল জামান বাবু ৬৮ হাজার টাকা কর্মকর্তাদের হাতে দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও ঐ মামলা ২ নং আসামী একই উপজেলার দেবরাজপুর গ্রামের অধির দাসের ছেলে বিকাশ দাস মাদক উদ্ধার এবং এই মামলা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ খুলনা কার্য্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক আহসানুর রহমানের নিকট অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জনান,অভিযোগ পেলে তদন্ত সহকারে ব্যবস্থা গ্রহন করব।
কপিরাইট © নিউজ বিডি জার্নালিষ্ট ২৪- ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। সম্পাদক ও প্রকাশক এস,এম রাকিব রাফসান, নির্বাহী সম্পাদক: মুহাঃ মোশাররফ হোসেন, সহযোগী সম্পাদক: মোঃ আল ইমরান 01550040372 E-mail: newsbdjournalist24@gmail.com