নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কৃষকদের জন্য বরাদ্দের কৃষি প্রণোদনার সার ও বীজ আত্মসাত মামলায় ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিঠু সিকদারকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতে বুধবার দুপুরে হাজির হলে ঐ আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুর রহমান ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু সিকদারকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়। এতথ্য গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে এডভোকেট আ.স.ম মাহামুদুর রহমান পারভেজ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৪ জুন রাতে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষ থেকে ৬ বস্তা ব্রি-৪৮ সরকারী ধানের বীজ উদ্ধার করা হয়। এর পরপরই ঐ ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা দিপক হাওলদারের পশ্চিম ছিটকী গ্রামের বাসা থেকে এমওপি (পটাশ) সার ৫ প্যাকেট ও ডিএপি ২ বস্তা রাসায়নিক সার এবং ২ বস্তা ব্রি-৯৮, চার বস্তা ব্রি -৪৮ ধান বীজ উদ্ধার করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেছার উদ্দিন এই সার-বীজ উদ্ধার করেছে।
ঘটনার পরদিন বুধবার (৫ জুন) কাঠালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান বিন ইসলাম বাদী হয়ে সরকারী মাল আত্মসাতের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিঠু সিকদার, ইউপি সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন এবং যুবলীগ নেতা দীপক হাওলাদারকে আসামি করে কাঠালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আসামীরা উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, খরিপ মৌসুমে উফসি আউশ ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় এ বছরের এপ্রিল মাসে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। উপজেলার ৩৭৫০ জন কৃষকের মাঝে ৫ কেজি আউশ বীজ, ১০ কেজি ড্যাপ সার ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়।
আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে ৬২৫ জন কৃষকের জন্য এই বরাদ্দ হয়। কিন্তু বিতরণের দুই মাস পর ৪জুন দুপুরে আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন অটোরিকশা যোগে পরিষদের গোডাউন থেকে সার ও বীজ গোপনে স্থানান্তর করছিলেন। স্থানীয় লোকজন তা দেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে
জানায়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নেছার উদ্দিন পরিষদের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ৬ বস্তা ব্রী-ধান জব্দ করেন। এর সূত্রধরে স্থানীয় সাতানী বাজারের দীপক হাওলাদারের বাসা থেকে ৪৮ ও ৯৮ জাতের ছয় বস্তা ব্রী-ধান ও ৭ বস্তা রাসায়নিক সার জব্দ করেন।