জাল সনদে ১৪ বছর চাকরি করা হাদিউজ্জামানকে জেল হাজতে প্রেরণ
লেখক:
নয়ন হাসান প্রকাশ: 8 months ago
মোঃ নয়ন হাসান, মনিরামপুর:
মনিরামপুর বাহিরঘরিয়া গোপালপুর আলিম মাদ্রাসার ইংরেজি প্রভাষক হাদিউজ্জামানের চাকরির ১৪ বছর পর নিবন্ধন সনদ জাল প্রমাণ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অবন্তিকা রায় আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন এপিপি এ্যাডঃ বশির আহমেদ খান।
জানা যায় মনিরামপুর বাহিরঘরিয়া আলিম মাদ্রাসায় ২০১০ সালের ১৫ জুন ইংরেজি প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় এর পরপরই তিনি এম পি ও ভুক্ত(যার ইনডেক্সে নং ঘ-২০৯৬৫৬২) হন। সেই থেকে তিনি চাকরি করে আসছেন। তিনি বেতন ভাতা বাবদ প্রায় অর্ধকোটি টাকা উত্তোলন করেছেন। চাকরির শুরুতেই তার নিবন্ধন সনদ নিয়ে সন্দেহ শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে হাদিউজ্জামানের ইংরেজি নিবন্ধন সনদটি জাল কিন্তু যখন যিনি সভাপতি হন তাকে ম্যানেজ করেই চাকরি করে আসছেন আজ পর্যন্ত। বতর্মান সভাপতি ডাঃ আতিউর রহমান তার জাল নিবন্ধন সনদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে গত ৮ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। ইউ এন ও বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকারকে নির্দেশনা দেন। নিবন্ধন সনদটি যাচাইয়ের জন্য বিকাশ চন্দ্র সরকার গত ১৫ নভেম্বর NTRCA এর চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন। NTRCA যাচাইবাছাই শেষে নিবন্ধন সনদটি জাল ও ভুয়া উল্লেখ করে সহকারী পরিচালক ( পরীক্ষা মূল্যায়ন প্রশাসন-৩) প্রত্যয়ন দেন।
এ ব্যাপারে থানায় মামলা করার নির্দেশনাও হয় আদালত থেকে। মামলার একটি অনুলিপি ইউ এন ও স্যারকে পাঠানো হয়। ফলে নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আঃ মালেক বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে হাদিউজ্জামানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এই মামলায় মঙ্গলবার হাদিউজ্জামান আদালতে হাজির হয়ে জামিনে আবেদন করলে জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে এখনো হাদিউজ্জামানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি না দেওয়ায় অধ্যক্ষের উপর জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
গভর্নিংবডির সভাপতি আতিউর রহমান বলেন, হাদিউজ্জামান একজন জনপ্রতিনিধি এবং কমিটির অধিকাংশ সদস্যকে ম্যানেজ করে চলার কারনে বহিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। অধ্যক্ষ আঃ মালেক বলেন, বহিষ্কারের জন্য পরপর সভা আহবান করা হলেও অধিকাংশ সদস্য উপস্থিত হননি তাছাড়াও রাজনৈতিক চাপ তো রয়েছে যে কারনে বিলম্বিত হচ্ছে