বুলবুল হোসেন:
সফল সমাপ্ত হয়ে গেলো জাতীয় কবিতা মঞ্চ’র মাদারীপুর জেলা কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান।পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অভিষেক অনুষ্ঠান। শিবচর, মাদারীপুরে অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি, গবেষক, সংগঠক ও বহু গ্রন্থ প্রণেতা মাহমুদুল হাসান নিজামী, সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটি, জাতীয় কবিতা মঞ্চ। কবি, গবেষক ও সংগঠক শ ম দেলোয়ার জাহান এর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিপুল সংখ্যক কবি সাহিত্যিক অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে অন্যতম কবি মোশাররফ হোসেন, কবি জাহিদ হোসেন মোল্লা, কবি ও গীতিকার মোঃ শাহ্ আলম মিয়া, কবি এমদাদুল হক, কবি জাহিদুল ইসলাম, কবি আশরাফুল আলম মুকুল, কবি রেজাউল করিম মাসুম, কবি শহীদ আল জেরিন, কবি এম এ শিকদার, কবি অয়ন কুমার সরকার, কবি উম্মে জেসমিন, কবি তাসনোভা তুশিন, শিক্ষক সুভাষ পান্ডে। কবি রাফেজা খানম রত্নার সঞ্চালনায় বিকাল ৫ টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হয়ে রাত ৮ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে এই অনুষ্ঠান। সভায় সভাপতি পদে কবি জাহিদ হোসেন মোল্লা এবং সাধারণ সম্পাদক পদে কবি মোঃ শাহ্ আলম মিয়া সহ ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর শুরু হয় সম্মানিত কবিদের কবিতা পাঠ, গান ও পুঁথি পাঠের আসর। প্রত্যেক কবি তাঁর একাধিক কবিতা পাঠের পাশাপাশি সমসাময়িক সাহিত্য ভাবনা এবং করণীয় শীর্ষক ইতিবাচক বক্তব্য পেশ করেন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে জাতীয় কবিতা মঞ্চ’র ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ও কর্মপরিকল্পনার খুঁটিনাটি বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। সভাপতি তাঁর সাহায্য সহযোগিতাসহ বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। সাহিত্য আলোচনার এক ফাঁকে সামাজিক প্রতিষ্ঠান পঞ্চমালা’র প্রথম প্রকাশনা “প্রজাপতি” নামে একটি পত্রিকার প্রথম সংখ্যা আত্মপ্রকাশ করে। পরে কবি তাসনোভা তুশিন সম্পাদিত “প্রজাপতি” প্রধান অতিথি, সভাপতি এবং অন্যান্য কবি সাহিত্যিক ও অতিথিদের হাতে তুলে দেয়া হয়। প্রধান শিক্ষক জনাব এমদাদুল হক তার বক্তব্যে তার সময়কার শিবচরের সাহিত্য ঐতিহ্য সম্ভার বর্ণনা করতে গিয়ে “শিবসাস” পত্রিকার কথা তুলে ধরেন। উদীয়মান শিল্পী জুয়েনার একাধিক নজরুল গীতি, রবীন্দ্র সংগীত ও আধুনিক গান আমন্ত্রিত অতিথিরা মুগ্ধতা নিয়ে উপভোগ করেন। কবি অয়ন কুমার সরকার ও কবি তাসনোভা তুশিন এর সার্বিক তত্বাবধান, শাহনেওয়াজ ও তার কয়েকজন বন্ধুর অক্লান্ত পরিশ্রম এবং তাদের নান্দনিক আতিথেয়তা ছিল চোখে পড়ার মত। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রকমের ফল, চা, কোমল পানীয় দ্বারা অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়। আপ্যায়নের পাশাপাশি চলতে থাকে সাহিত্য আড্ডা। অবশেষে সভাপতি সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অভিষেক অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।