জলবায়ুর পরিবর্তনে মনিরামপুরসহ সারাদেশে তীব্র তাপদাহ ও সাথে লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ জনজীবন

লেখক:
প্রকাশ: 2 years ago

জলবায়ুর পরিবর্তনে মনিরামপুরসহ সারাদেশে তীব্র তাপদাহ ও সাথে লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ জনজীবন
মুহাঃ মোশাররফ হোসেন: ডেস্ক রিপোর্টঃ

বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে সারাদেশে রাতে-দিনে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সারাদেশের জনজীবন। এছাড়াও একটু শান্তির আশায় মানুষ যখন ঘরে ফিরে ফ্যানের শীতল বাতাস এর আশায় ছুটছে তখন বিদ্যুৎ নেই। সূর্যের খরতাপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সারাদেশের খেটে খাওয়া মানুষদের । এছাড়া তীব্র গরমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য সিয়াম সাধনা কঠিন হয়ে পড়েছে। সূর্যের তাপ এতোটাই প্রখর যে, রাস্তার বিটুমিন পর্যন্ত গলে ফুলে ঊঠছে।
সারাদেশে বাজার/শহর এবং বিভিন্ন রাস্তায় এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। এদিকে প্রভন্ড গরমের কারনে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে কর্মজীবী মানুষজন। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। জীবিকা নির্বাহের তাগিদে কৃষকরা গরম উপেক্ষা করেই সোনালী ফসল কাটায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন। অনেকে রোজা রেখেই করছেন এসব কাজ। এদিকে রোদ ও তীব্র গরমের কারণে দুপুরের দিকে বাজারে এবং শহরের মানুষের উপস্থিতিও অনেকটা কম হলেও সন্ধ্যার পর জমজমাট ঈদের বাজার। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো বারবার লোডশেডিং হওয়ার ফলে ব্যাহত হচ্ছে ঈদের কেনাবেচা। পর্যাপ্ত পরিমাণ আলোর অভাবে কাপড়ের সঠিক রং এবং গুণগত মান দেখে কিনতে পারছেন না ক্রেতারা। তীব্র গরমের মধ্যে বেচাকেনা করতে হচ্ছে দোকানীদের। দোকানিরা এবং ক্রেতারা বারবার লোডশেডিং হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এর প্রভাব অনেকটা পড়েছে আমাদের যশোর জেলার মনিরামপুরে। খোজ নিয়ে জানা গেছে এবং যশোর পবিস-২ কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে বিদ্যুৎ এর উৎপাদন ঘাটতি থাকায় চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। যশোর পবিস-২ এর বিদ্যুৎ চাহিদার তুলনায় ৩৪% বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছে না। এছাড়া বর্তমানে দেশে জলবায়ুর পরিবর্তনে এবং বৃষ্টি না হওয়ায় তাপমাত্রা অত্যাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। রমজানের শুরুতে তাপমাত্রা ছিল ২৫-২৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বর্তমানে তা বেড়ে প্রায় ৪১-৪২-৪৩ ও ৪৪ ডিগ্রী পর্যন্ত সেলসিয়াস এ দাড়িয়েছে। রমজানের শুরুতে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর চাহিদার অনুযায়ী বিদ্যুতের প্রাপ্যতা/সরবরাহ ছিল। ফলে সে সময় লোডশেডিং হতোনা। বর্তমানে গরমের কারণে গ্রাহকদের বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে কিন্তু বিদ্যুতের প্রাপ্যতা/সরবরাহ বাড়েনি। সারা দেশে এভাবেই চাহিদা বেড়েছে এবং ঘাটতি রয়েছে। প্রচন্ড তাপদাহের সময় বিদ্যুতের চাহিদা ও প্রাপ্যতার মধ্যে সমন্বয় করতে হচ্ছে। যার কারণে সকল এলাকায় পর্যায়ক্রমে লোডশেডিং করার প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে ব্যাপক পরিমাণে লোডশেডিং করার প্রয়োজন হচ্ছে। এমতাবস্থায় সকলকে ধৈর্য ধারণ এবং বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তথা সারাদেশের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

error: Content is protected !!