জয়নগর থানার মোষমারির ছাত্রী খুনের ঘটনায়  উত্তাল পুড়লো পুলিশ চৌকি

লেখক: ভারত বাংলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: 2 weeks ago

ভারত থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম:

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বারুইপুর জেলা পুলিশের অধীনে জয়নগর মঞ্জিল থানা এলাকায় একটি চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী টিউশনি পড়তে যায় মাস্টারের কাছে। কিন্তু অধিক সময় পার হয়ে যাওয়ার পর বাড়িতে ফিরে না আসায় চিন্তা শুরু করে বাড়ির লোকজন।তারা ছুটে যায় জয়নগর মঞ্জিল থানা র মোষমারি ক্যাম্পে।

সেখানে অভিযোগ করেন। এবং পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজ ছাত্রীর খোঁজ পেতে শুরু করে তল্লাশি। দীর্ঘ রাত পার হয়ে যাওয়ার পর, তার পর দিন পাশের গ্রামের কিছু দূরে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এই ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এবং স্থানীয় মানুষের অভিযোগ পুলিশ ঠিক মতো খোঁজ খবর না নেওয়ায় কারণে তাদের এই চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী এবং তাদের মেয়ে কে আজ হারাতে হয়েছে। এবং এই ঘটনার পর সাধারণ মানুষ উত্তেজিত হয়ে মোষমারি ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেয়। এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের তাড়া করে। এই ঘটনার পর বারুইপুর জেলা পুলিশের সুপার শ্রী পলাশ চন্দ্র ঢালী আই পি এস ও বারুইপুর থানার আই সি বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ছুটে আসেন। কিন্তু দোষীদের বিচারের দাবিতে আওয়াজ তোলা স্থানীয় জনতা। এই ঘটনার পর মোস্তাকিন সরদার নামে এক ১৯, বছরের বালক কে গ্রেফতার করে বারুইপুর জেলা পুলিশ।

সেই সঙ্গে মৃত ইস্কুল ছাত্রীকে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় পদ্মপুকুর পুলিশ মার্গে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ যে মৃত ইস্কুল ছাত্রীকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু কি ভাবে তাকে খুন করা হয়েছে তার ময়না তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত বলা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বারুইপুর জেলা পুলিশের সুপার শ্রী পলাশ চন্দ্র ঢালী আই পি এস। তিনি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে এবং শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

এই ঘটনার পর মৃত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান পশ্চিম বাংলার বিধান সভার সদস্য ও কুলতলীর বিধায়ক শ্রী গনেশ মন্ডল ও জয়নগর লোকসভার এমপি শ্রীমতী প্রতিমা মন্ডল। তাদের দেখে সাধারণ মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে এক পর্যায়ে তাদের কে তাড়া করে উত্তেজিত জনতা। সেখান থেকে কোন রকমে সরে পড়ে কুলতলীর বিধায়ক শ্রী গনেশ মন্ডল। এবং প্রতিমা মন্ডল চলে আসেন।এর পর আসেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিহোত্রা পাল তাকে গো ব্যাগ স্লোগান দিয়ে সরিয়ে দেয় জনতা।এর পর ছুটে আসেন পশ্চিম বাংলার সি পি আই এম সভানেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এই ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ টহলদারি জোতদার করেছেন। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সবধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপার শ্রী পলাশ চন্দ্র ঢালী। তিনি প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া কথা ঘোষণা করেন এবং এই ঘটনার পর যদি কোন পুলিশ অফিসারের গাফলতি থাকে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন। কারণ কোন মহিলা ও নাবালিকা যদি হারিয়ে বা নিখোঁজ হয়, তাহলে ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে সেই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে এফ আই আর করতে হবে। এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তদন্ত শুরু করতে হবে। এমন ঘটনা র পর কেন এত দেরি হয়েছে এবং পুলিশ কর্মকর্তারা কি ভূমিকা পালন করছে তা দেখার জন্য সবধরনের ব্যাবস্থা নেবার কথা বলেছেন।

error: Content is protected !!