ছেলের হাতে বাবা খুন, আদালতে স্বীকারোক্তি
ডেক্স রিপোর্টার :
রাজধানীর আদাবর থানার শেখেরটেক এলাকায় নুরুল ইসলামকে (৭৪) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তার ছেলে ইফতেখার আলম সুমন (৩৫)। সুমন বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সুমনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইব্রাহিম।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নুরুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন তার ছেলে সুমন। খবর পেয়ে শেখেরটেক ৭ নম্বর রোডের একটি বাসার দোতলা থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এলাকাবাসী ও বাসার মালিকের বরাত দিয়ে এসআই ইব্রাহিম জানান, বৃহস্পতিবার নুরুল ইসলামের সঙ্গে তার ছেলে ইফতেখার আলম সুমন খারাপ ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বাবাকে হত্যা করেন তিনি। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বাসার মালিক ও কেয়ারটেকার থানায় জিডি করলে ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা অবস্থায় সুমনকে আটক করা হয়।
এসআই ইব্রাহিম আরও জানান, নিহত ব্যক্তির শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। আটক সুমনের ঊর্ধ্বতন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুমন গত ছয়মাস ধরে অফিসে যান না। তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন।
নিহত নুরুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার মরিয়মনগর এলাকায়। বর্তমানে শেখেরটেক এলাকায় থাকতেন।