আলিফ আরিফা,গাজীপুর প্রতিনিধি:
অটোরিকশা ছিনতাই করে নেওয়ার সময় ছিনতাইকারীদের চিনে ফেলায় এবং বাধা দেওয়ায় বুকে ও পিঠে একাধিকবার ধারালো ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় চালক নূর ইসলামকে। গত ৫ অক্টোবর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সার্ডি এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের ৮ দিন পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানতে পারে পুলিশ।আজ শনিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ–কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপ–কমিশনার আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নলজানি এলাকার রমজান আলী, চান্দনা পালের মাঠ এলাকার মো. শরীফ ও ভাঙারি ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন।সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের উপ–কমিশনার আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান জানান, নিহত নূর ইসলাম চান্না বউ বাজারে ভাড়া বাসায় বসবাস করে অটোরিকশা চালাতেন এবং গ্যারেজ পরিচালনা করতেন। গত ৫ অক্টোবর রাতে গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন নূর ইসলাম। পরদিন সকাল ৭টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সার্ডি রোডে নাটা অফিসের আগে রাস্তার ওপর নূর ইসলামকে ছিনতাইকারীরা খুন করে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে নূর ইসলামের ভাগিনা শাহীন মিয়া বাসন থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ উপ–কমিশনার আরও জানান, পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ঢাকার রানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামি শরীফকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর সহযোগী রমজান আলী ও চোরাই অটোরিকশা ক্রেতা দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলুকে চান্দনা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া দেলোয়ারের ভাঙাড়ি দোকান থেকে অটোরিকশার অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের দেওয়া তথ্যের বরাতে আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান আরও জানান, নিহত নূর ইসলাম অটোরিকশা ছিনতাই করে নেওয়ার সময় ছিনতাইকারীদের চিনে ফেলে এবং বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছিনতাইকারীরা নূর ইসলামের বুকে ও পিঠে একাধিকবার ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।