স্টাফ রিপোর্টার:
গতকাল ২৪শে আগস্ট দুপুর ০১:৩০ মিনিটের সময় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের খুলনা থানা প্রঙ্গণে মান্যবর পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা মহোদয় ১৪ (চৌদ্দ) টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ চোরচক্রের ১০ (দশ) জন সদস্য গ্রেফতার সংক্রান্তে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন।কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার বলেন যে, “খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সর্বদা খুলনার গণমানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধ পরিকর। এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই খুলনা মহানগর পুলিশ কাজ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০১ আগস্ট ২০২৩ তারিখ হতে খুলনা মহানগর পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে আপনারা জেনেছেন জঙ্গি, সন্ত্রাসী, নাশকতাকারী, অনলাইন জুয়াড়ি, ইভটিজার, ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী-সহ নানান ধরণের ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত এবং জিআর ও সিআর পরোয়ানাভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করা অব্যাহত রেখেছে।এরই ধারাবাহিকতায় কেএমপি’র খুলনা থানার এসআই(নিঃ) সুজিত মিস্ত্রীর নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৩/০৮/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ ১৯.৪৫ ঘটিকার সময় সুমন মিস্ত্রী(৩৬), পিতা-কৃষ্ণ মিস্ত্রী, মাতা-কিরন মিস্ত্রী, সাং-গাউখালী, থানা-নাজিরপুর, জেলা-পিরোজপুর, এ/পি-সাং-আল ফারুকের মোড়, বাপ্পির বাড়ির ভাড়াটিয়া, থানা-সোনাডাঙ্গা, জেলা-খুলনা’কে
সোনাডাঙ্গা থানাধীন আল ফারুক মোড় এলাকা হতে ধৃত করে। পরবর্তীতে গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে লিটন শেখ(৪০), পিতা-শামছু শেখ, মাতা-আলেয়া বেগম, সাং-খারদার, ৯নং ওয়ার্ড, থানা-বাগেরহাট সদর, জেলা-বাগেরহাট, এ/পি-সাং-মোকসেদপুর সদর হাসপাতালের পার্শ্বে, মিজান শেখ এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা- মোকসেদপুর, জেলা-গোপালগঞ্জ’কে ধৃতপূর্বক তার হেফাজতে থাকা নিজ বাসা হতে খুলনা থানার মামলা নং-২৩, তাং-০৯/০৮/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড সংক্রান্তে চোরাই যাওয়া ১) ০১ টি Apache RTR 160 cc মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে সুমন মিস্ত্রী এবং লিটন শেখ দ্বয়ের স্বীকারোক্তি মতে লিটন শেখ এর হেফাজতে থাকা ভাড়াটিয়া বাসা হতে খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন স্থান হতে বিভিন্ন সময়ে চুরি হওয়া আরও ০৫(পাঁচ) টি চোরাই মটর সাইকেল যথাক্রমে ২) ০১ টি লাল রংয়ের Pulsar 150 CC মটরসাইকেল; ৩) ০১ টি লাল ও কালো রংয়ের Pulsar 150 CC মটরসাইকেল; ৪) ০১ টি নীল রংয়ের Apache RTR 160 CC মটরসাইকেল; ৫) ০১ টি কালো রংয়ের Apache RTR 150 CC মটরসাইকেল এবং ৬) ০১ টি লাল কালো রংয়ের Discover 100 CC সহ সর্বমোট ০৬ (ছয়) টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সুমন মিস্ত্রী এর বিরুদ্ধে ০১ টি মামলা এবং লিটন শেখ এর বিরুদ্ধে ০৭ টি মামলা রয়েছে।”তিনি আরো বলেন যে, বিগত ০১ আগস্ট ২০২৩ তারিখ হতে ২৪ আগস্ট ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অভিযানে অবৈধ পিস্তল উদ্ধার-০৪ টি, পিস্তলের ম্যাগজিন উদ্ধার-০৪টি, পিস্তলের গুলি উদ্ধার-১৫ রাউন্ড, চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার-০৩ টি, চাপাতি উদ্ধার-০৪ টি, মোটরসাইকেল উদ্ধার-১৪ টি, বৈদ্যুতিক আর্থিং কেবল উদ্ধার- ৩০ মিটার, জাল নোট উদ্ধার-০৫ টি, ইজিবাইক উদ্ধার-০৩ টি, ট্রাক উদ্ধার-০১ টি, মাদকদ্রব্য গাঁজা-২৫ কেজি ১১০ গ্রাম, দেশী ও বিদেশী মদ-১৭৮ লিটার এবং ইয়াবা ট্যাবলেট-৩৫৭২ পিস উদ্ধার করা হয়েছে।এ-সময় কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) জনাব মোঃ সাজিদ হোসেন; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) জনাব মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম; সহকারী পুলিশ কমিশনার (খুলনা জোন) জনাব এস.এম বায়জীদ ইবনে আকবর; সহকারী পুলিশ কমিশনার (স্টাফ অফিসার) জনাব ইমদাদুল হক এবং খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ হাসান আল-মামুন-সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, পুলিশ অফিসারবৃন্দ ও ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।