চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ৩ চাঁদাবাজ ডিবির জালে 

লেখক: Champa Biswas
প্রকাশ: 1 year ago

মোঃ ওয়াজেদ আলী,স্টাফ রিপোর্টার:  

যশোর শহরের শংকরপুর এলাকায় গ্লাস এন্ড প্লাস্টিক ব্যবসায়ী মালিক বিপ্লবের নিকট চাঁদা দাবি করে না পেয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টাকারী চাঁদাবাজ চক্রের তিন সদস্য জুম্মান (৩৮),আরমান মোল্লা (৩০) ও রাহাত হোসেন (২৫) কে গ্রেফতার করে যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ টীম।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা যশোর কোতোয়ালি থানাধীন খড়কি দক্ষিণপাড়া হাজামপাড়া এলাকার মৃত মূরাদ সরদারের ছেলে জুম্মান,একই এলাকার হাদিউজ্জামান মোল্লার ছেলে আরমান মোল্লা ও শংকরপুর যশোর কলেজ রোড এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে রাহাত হোসেন।

আজ মঙ্গলবার (৩০শে মে) সকালে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যশোর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপণ কুমার সরকার জানান, শহরের শংকরপুর জমাদ্দারপাড়া ভুতেরবাড়ী এলাকায় ‘ফারদিন গ্লাস এন্ড প্লাস্টিক স্টোর’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক ব্যবসায়ী আশরাফুল হাসান বিপ্লবের নিকট একই এলাকার চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতা একাধিক মামলার আসামি জুম্মান ও তার লোকজন গত ২০শে এপ্রিল থেকে একাধিকবার চাঁদা দাবি করে আসছিলো। ব্যবসায়ী বিপ্লব চাঁদা না দিলে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ ও খুন জখমের ভয়ভীতি দেখায় চক্রের সদস্যরা।

এরপরে ৪ই মে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিপ্লবের ফারদিন গ্লাস এন্ড প্লাস্টিক স্টোর নামক প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন জনৈক তরিকুল ইসলামের বন্ধ কারাখানার উত্তর-পূর্ব কোন থেকে একটি শপিং ব্যাগে রক্ষিত অবস্থায় দুইটি দেশিয় তৈরি ওয়ানশুটারগান পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা। এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি জিডি করা হয় এবং আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকে। এমন সময় আসামি জুম্মান পুনরায় ব্যবসায়ী বিপ্লবের নিকট চাঁদা দাবি করে ভয়ভীতি দেখালে বিপ্লব কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।

ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় যশোর পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনার তদন্তে নামে যশোর ডিবি পুলিশ। এ সময় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের সনাক্ত পূর্বক চাঁদাবাজ ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অপচেষ্টা চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবির ওসি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তারা ফাঁসানোর জন্য অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ পূর্বক হেফাজতে রেখেছিলেন।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে পৃথক এজাহার দায়ের করা হয়। আসামিদের মধ্যে রাহাত ও আরমান বিজ্ঞ সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

error: Content is protected !!