রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
শিরোনাম:
মছদ্দর আলী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হলে ও নেই কোন তালিকায় নাম বগুড়ায় গুলিবিদ্ধ সোকেন মানবতার জীবন যাপন করছে দেখার কেউ নেই ভাঙা পা নিয়েই অটো ভ্যান চালাচ্ছেন রাশেদ শার্শায় নিখোঁজ স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার ইসলামপুরে শিবিরের সুধী ও জননশক্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত  একটি গাভীর তিনটি বাছুরের জন্ম কুরআনের আইন ছাড়া মানুষের শান্তি হবে না রৌমারীতে ওলামা-মাশায়েখ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবিগঞ্জের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে বৃদ্ধ নিহত রাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ যশোরে কুয়াদায় মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যান চালক নিহত হবিগঞ্জে হত্যা ও নাশকতার মামলায় ২জন পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৯ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ৫৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত যশোরের রেজিস্ট্রি অফিস ও ভূমি অফিসের দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঝিকরগাছায় ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ ও গুনিজন সংবর্ধনা ফুলবাড়ীতে শহীদি মার্চ উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  রামনগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে ১১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি  বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৫৩তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ ঢাকা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে রামগজ্ঞের বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ পাটগ্রামে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন রৌমারীতে সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক যশোরের পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা নড়াইলে কালিয়া উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১২  সেনাবাহিনী ও বিদ্যানন্দের উদ্যোগে “এক টাকায় বাজার” নড়াইলে সড়কও জনপদ বিভাগের আওতায় অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু যশোরে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষ রোপণ দেশের মানুষ স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে- এড. শহীদ মোহম্মদ ইকবাল হোসেন আজ সাতসকালে ছত্তিশগড়ে গভীর জঙ্গলে সি আর পি এফের গুলিতে খতম ৯ মাওবাদী দেশের আইনশৃঙ্খলার রক্ষায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি

গ্রাম এখন শহর হয়েছে

উপজেলা / জেলা-প্রতিনিধি / ৫০ বার পড়া হয়েছে
সময় রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন

মোঃ বুলবুল হোসেন

অনেকদিন পর তুহিন গ্রামের বাড়ি এসেছে প্রায় দশ বছর হবে। কিন্তু গ্রামে এসে দেখল তুহিন দশ বছর আগে যা দেখেছে বর্তমানে তা আর নাই। তুহিনের গ্রামের বাড়ি তার দাদু আর দাদী থাকে। দাদু অনেক দিন পর তুহিনকে দেখে বুকে জড়িয়ে ধরল দাদুভাই কেমন আছিস। আমি ভালো আছি তোমাদের দেখতে আমি চলে আসলাম ।

কতদিন হয়ে গেল তোমাকে দেখি না । মনটা কেমন জানি করছিল তোদের জন্য । চল ফ্রেশ হয়ে নিবি তারপর আমরা সবাই একসাথে খাব । তোর বাবা আগে আমাকে বলেছিল তুই আসতেছিস ।তাই পুকুর থেকে বড় মাছ ধরে রান্না করেছে তর দাদী।
ঠিক আছে দাদুভাই তুমি যাও আমি আসতেছি। এই বলে তুহিন ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে চলে আসলো ।খাবার সময় দাদুকে বললো দাদু চলো আমাদের জমিগুলো দেখে আসি। দাদু বলল এখন আর জমি দেখে কি আর মজা পাবি। এখন মানুষ খুব সৌখিন হয়ে গেছে। আগে আমাদের জমি দেখতে বিলের মাঝখানে যেতে হতো। প্রায় এক ঘন্টার মত সময় লাগতো। আর এখন বিলের মাঝখান পর্যন্ত লম্বা রাস্তা হয়ে গেছে।

মাঝে দুটা ব্রিজ হয়ে গেছে তাই আগের মতো মজা পাবি না। তুহিন বলল দাদু আগের মত মজা বলতে কি বোঝাও ? আরে দাদুভাই শোন আগে যেরকম ছিল এই এলাকা। আমার বাবা যখন জমি চাষ করত তখন অনেকগুলো লোকজন নিয়ে কাজ করতো । তাদের খাবার দিতে যেতাম গামছায় বা লুঙ্গিতে বেঁধে তারপর মাথায় তুলে হাতে পানির জগ নিয়ে চলে যেতাম। মাঝেমধ্যে আইলে কয়েকবার পড়ে যেতাম। সবাই মিলে কত মজা করে খাওয়া দাওয়া হতো। আর তখন টাকার অনেক মূল্য ছিল। মানুষ চার পাঁচ টাকা করে কামের মূল্য নিত। তা পেয়ে তাদের সংসার চলে যেত । সারাদিন গল্প আনন্দ ফুর্তিতেই কাজ মেতে থাকতো। সবাই একই আড্ডা দিয়ে কাজ করে যেত। এখন আর ওসব হয় না দাদাভাই। তখন তো মেছের এরকম ব্যবহার ছিল না। রশিতে আগুন দিয়ে এক দুপুর কেটে যেত।
যখন শ্রমিকরা কাজ শেষ করত ওই দূরে বট গাছ ছিল। তার ছায়ার তলে এসে মনের আনন্দে একেক জন গল্প করতো। এখন আরো সে সুখ নাই ।আগে রোগ বালাই কম হতো কারণ তারা কঠোর পরিশ্রম করতো।

আর এখনকার মানুষ অলস হয়ে গেছে। এসব পরিশ্রম আর করে না । বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহারের ফলে জমির উর্বরতা কমে গেছে। এতে রোগ বালাইও বেড়ে গেছে । ছোটবেলায় আমার বাবার হাতে কত মার খেতাম ।সারা দিন হই হোল্লো করে ঘুরে বেড়াতাম । একদিন তো বাবার হাতে অনেক মার খেয়েছি। কারণ ঐদিন আমি বাবার পকেট থেকে একশত টাকা চুরি করে বন্ধুদের নিয়ে ছবি দেখতে গিয়েছিলাম। আর বাবা এসে মাকে জিজ্ঞাসা করছিল আমার পকেট থেকে কে টাকা নিয়েছে। তখন আমার মা বলল তুমি কোথাও ফেলে এসেছ। বাবা বলল অবশ্যই তোমার ছেলে নিয়েছে। তাছাড়া টাকা যাবে কই। বাবা মা ঝগড়া করতে করতে রাত্রি পায় দুইটা বেজে গেছে। এদিকে বাবা-মার ঝগড়া চলতেছে। তাই বাড়িতে আসার সাথে সাথে বাবা আমাকে গরু পিটানো লাঠি দিয়ে অনেক মেরেছিল। দুই দিন হাসপাতালে ছিলাম। বাবা অনেক কেঁদেছিল আমাকে মারার পর। তখন এরকম কারেন্ট ছিল না,কেরোসিন তেল দিয়ে হ্যারিকেন জ্বালানো হতো ।বাড়িতে পুথি পড়া হতো । জোৎস্না রাতে উঠানে বসে থাকা হতো।

সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে চোখে জল এসে যায়। দাদুভাই গ্রাম এখনো গ্রামের মতো আছে । কিন্তু আগের দিনগুলো নেই গ্রাম এখন শহর হয়ে গেছে। শহরের মানুষ গুলোর মত গ্রামের মানুষ গুলো ইট পাথরের পরিণত হয়ে যাচ্ছে । কেউ কারো ধার ধারে না সম্মান করে না। আগে ভালো একটা কাজ করলে দশজনের মতামত নিতো। এখন আর তা হয় না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

একাধিক নিউজ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
error: Content is protected !!