![](https://newsbdjournalist24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহঃ
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের মীমাংসা সহজে হওয়ায় উপকৃত হয়েছেন কালীগঞ্জ উপজেলার রুস্তম আলীর মতো অনেকে। তবে ১১টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত কার্যক্রম নিয়মিত হলেও সেভাবে সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।
মানুষের অসচেতনতা, এজলাসের অভাব, জনপ্রতিনিধিদের অনাগ্রহসহ নানা কারণে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ২০২৪ সালে ১১টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালতে মাত্র ১২৪টি মামলা গ্রহণ করা হয়, যার মধ্যে ১০৬টি নিষ্পত্তি হয়েছে।
গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ অনুযায়ী গ্রামাঞ্চলের মানুষকে দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে বিচারিক সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও সচেতনতার অভাবে মানুষ থানায় বা আদালতে যাওয়াই বেশি পছন্দ করেন। স্থানীয় সরকার বিভাগ কার্যক্রমকে গতিশীল করতে নানা নির্দেশনা দিলেও মাঠপর্যায়ে তার যথাযথ বাস্তবায়ন হয়নি।
ত্রিলোচনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ঋতু বলেন, “থানায় গেলে বাদীদের গ্রাম আদালতের পরামর্শ দিলে অনেক মামলা সেখানেই নিষ্পত্তি হতে পারে।” কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদারও বলেন, “গ্রাম আদালত সক্রিয় হলে আদালত ও থানার মামলার চাপ কমবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম জানান, “মানুষের আস্থা ফেরাতে গ্রাম আদালতের প্রচারণা ও কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে। প্রয়োজনীয় এজলাস তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে। সম্মিলিত উদ্যোগে গ্রাম আদালতকে আরও কার্যকর করা সম্ভব।
সচেতনতা ও কার্যকর উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রাম আদালত জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারে এবং সাধারণ মানুষের বিচারপ্রাপ্তির পথ সুগম করতে পারে।