সেলিম মিয়া, রংপুরঃ
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ঋতু পরিবর্তনের পালাবদলে আসে শরৎ। শরৎ আগমনের অন্যতম প্রতীক কাশফুল আর নীল আকাশের বুকে ভেসে বেড়ানো শুভ্র মেঘের ভেলা। রিমঝিম বর্ষার পরেই ভাদ্র-আশ্বিনজুড়ে শরৎ কালের রাজত্ব। শরৎ মানেই নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর কাশফুলের শুভ্রতা। প্রকৃতিতে যখন শরৎকাল আসে তখন কাশফুলই জানিয়ে দেয় এর আগমনী বার্তা। তবে কালের বিবর্তনে গ্রামীণ দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শরতের কাশফুল। আগের মতো আর কাশ ফুলের দেখা মেলে না। বয়োজ্যেষ্ঠরা বলেন, শরৎকাল এলেই কাশগুচ্ছ জেগে ওঠে গ্রামের নদী, ঝোপ, ঝাড়, রাস্তার আনাচে-কানাচে। তখন সাদা ধবধবে কাশফুলের মন মাতানো হিল্লোল দোল দিয়ে যায় সবার মনে।প্রকৃতির এই অপরূপ সৃষ্টিকে দেখতে এবং এর সংস্পর্শ পেতে প্রায় সময়ই মানুষরা ভিড় জমাতো। ‘বর্ষার এই সময়টাতে কাশফুলে ছেয়ে যায় পুরো এলাকা। দেখতে ভালোই লাগতো। কাশফুল বাংলার চিরচেনা শরতের সুন্দর স্নিগ্ধ ফুল। গ্রামবাংলার অপরূপ শোভা কাশবন ছিল চেনা দৃশ্য। কিন্তু সেই কাশবন এখন আগের মতো চোখে পড়ে না।’ নদীর ধার, জলাভূমি, চরাঞ্চল, শুকনো এলাকা, পাহাড় কিংবা গ্রামের উঁচু জায়গায় কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠে। তবে নদীর তীরেই কাশফুল বেশি জন্মাতে দেখা যায়। এলাকার বয়স জ্যেষ্ঠরা বলেন আগে গ্রামীণ দৃশ্যপটে কাশবন দেখা যেত। এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। কাশ দিয়ে গ্রামের বধূরা ঝাঁটা, ঝুড়িসহ নানান প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরি করে। কৃষকের ঘরের ছাউনি হিসেবেও এর ব্যবহারের জুড়ি নেই।