যশোরের শার্শায় তাসলিমা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ দাফনের দু’মাস পর আদালতের নির্দেশে উত্তোলন করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের আমলাই গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার মৃতদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ তথ্য জানান বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম। নিহত তাসলিমা খাতুন শার্শা উপজেলার আমলাই গ্রামের নূর আহম্মেদের স্ত্রী।
মৃতদেহ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ইয়াসমিন ও বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ শহিদুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা।
স্বামী নূর আহম্মেদ জানান, ২৬ আগস্ট ফজরের নামাজের জন্য ভোরে মসজিদে যাই। নামাজ শেষে মসজিদে মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে বাড়ি এসে তিনি স্ত্রীকে ডাকাডাকি করেন। এসময় তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে যেয়ে দেখি স্ত্রী খাটের ওপর পড়ে আছে।
মাথার পেছনের ওপর একটি বালিশ পড়ে রয়েছে। সেই বালিশ সরিয়ে নিলে একটি আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই। পরে পরিবারের চাপে পড়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে দাফন করি।
স্ত্রীর মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, এটা হত্যা বলে মনে করি। তাই হত্যাকারী হিসেবে আপন দুই ভাইপোর নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করি।
আদালতের নির্দেশে মৃতদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান নুর আহম্মেদ।
পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আটক নজরুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন ও নাইম হোসেন পুলিশি রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে তিনি দাবি করেন।