মোঃ ইমদাদ মাগুরা:
মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদার ইউনিয়নের বীরপুরুষ গ্রামের রিকশা চালক ও বিএনপির নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হোসেন আলী জুলাই বিপ্লবের সময় পুলিশের রাবার বুলেট ও টিয়ার শেলে গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের হোসেন আলীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তবে হোসেন আলী অভিযোগ করেন, এখন পর্যন্ত স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা তার পাশে দাঁড়াননি।
হোসেন আলীর পরিবার জানায়, ঘটনার পরপরই তাকে মাগুরা সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। তার চিকিৎসার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার। বিএনপি’র পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা না পাওয়ার কষ্টও প্রকাশ করেছেন তিনি।
হোসেন আলী বলেন, “আমার চিকিৎসার জন্য সাইমুম নামে ছাত্রদলের একজন নেতা ব্যক্তিগতভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তার সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তা করছেন। কিন্তু স্থানীয় বা কেন্দ্রীয় নেতাদের কারো থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমি বাঁচতে চাই। বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে আবেদন করছি, আমার পাশে দাঁড়ান।”
হোসেন আলীর পরিবারের মতে, এ ঘটনার ব্যাপারে নেতাকর্মীদের হয়তো জানা নেই কারণ তিনি ঘটনার পর থেকেই ঢাকায় চিকিৎসাধীন। এখন সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি সবার নজরে আনার চেষ্টা করছেন।
হোসেন আলীর পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা আশা করছেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা দ্রুত তার পাশে দাঁড়াবেন এবং তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা করবেন।