স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাতক্ষীরার কলারোয়া থানা এলাকায় চাঞ্চল্যকর পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে " শ্যালক আব্দুল কাদের ও তার স্ত্রী শারমিন” হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ সবুজ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬, গত (২৮ মে) সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানাধীন চন্দনপুর গ্রামে টিনের ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে স্বামী- স্ত্রী কে পুড়িয়ে মারার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ ফিরোজ কবীর প্রেস ব্রিফিং এ বলেন সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার চদনপুরে মোছাঃ সুফিয়া খাতুন এর সাথে ০৪ বছর আগে আসামী মোঃ সবুজ হোসেন এর সহিত বিবাহ হয়। সবুজ গরু চোরাচালান ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় সে মাদকাসক্ত হওয়ার কারনে বিবাহের পর থেকেই কারন অকারনে সুফিয়া খাতুনকে মারধর করতো, অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সুফিয়া খাতুন তার ভাই আব্দুল কাদেরের বাড়ি চলে আসে।
মোছা: সুফিয়া খাতুন গত ২৮ মে তার ভাই আব্দুল কাদের এর বাসা হতে মায়ের সাথে দেখা করার জন্য যশোরে গেলে ঐ দিন রাতে অনুমানিক ২টা.৪৫ মিনিটের সময় আসামী সবুজ হোসেন ও তার মামাত ভাই সোহাগ আলম সহ অজ্ঞাতনামা ৩ থেকে ৪ জন একত্রিত হয়ে সুফিয়া খাতুনের ভাই আব্দুল কাদেরের টিনের বেড়া ও ছাউনিযুক্ত বসত ঘরে পেট্রোল ঢেলে বাহির থেকে তালা বন্ধ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। তালা বন্ধ ঘরের ভিতর হতে তার ভাই-ভাবীর ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকার লোকজন ঘর তালা বন্ধ দেখে জানালা ভেঙ্গে ঘরের ভিতর থাকা সুফিয়া খাতুন এর ভাই আব্দুল কাদের ও ভাবী শারমিন খাতুন ও শিশু মেয়ে ফাতিমা খাতুনকে আগুনে দ্বগ্ধ অবস্থায় বের করে এলাকার লোকজন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ঢাকা বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে ঢাকার বান ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পহেলা জুন আব্দুল কাদের ও ১৪ই জুন তার স্ত্রী শারমিন খাতুন মারা যান।
হত্যার ঘটনার পর থেকে আসামী ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার বনগ্রামে তার অপকর্মের সহকারী ভারতীয় নাগরিক শাহজাহান মন্ডলের আশ্রয়ে ভারতে অবস্থান করে। ২০ আগষ্ট র্যাব সাতক্ষীরা ক্যাম্প গোপন সংবাদের মাধ্যম জানতে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ১নং প্রধান আসামী সবুজ হোসেন" ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুর থানা এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে যশোর জেলার শার্শা থানা এলাকা থেকে সবুজ হোসেনকে গ্রেফতার করে র্যাব।